পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী অপরিমাণ শ্রদ্ধার অভিব্যক্তিটা অন্য যে কোন মানুষ সম্পর্কে হয় কৃত্রিম নয় বিসদৃশ মনে হইত । তবে জগদানন্দ এ পরিবারের গুরুদেবের ভাই, এ বাড়ীতে পদাৰ্পণ ঘটিলেই মোহনের মা তাকে প্ৰণাম করেন। লাবণ্যকে মন্ত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ ও তিনি জানাইয়া রাখিয়াছেন। জগদানন্দ স্বীকার করে নাই। তৰু সে এই পরিবারের গুরুবংশের প্রাপ্য শ্রদ্ধা ভক্তির বন্ত মান উত্তরাধিকারী। তাকে যত খুশী শ্রদ্ধ করা চলে, ছেলেমানুষের মত ছাবলামি করার মত সেটা প্ৰকাশ করিয়া দেখানোও চলে। তাই একমাত্র মােহন ছাড়া তার ছেলেমানুষীতে কেহ বিরক্ত হয় না। তার जललऊ नश्ाांद्ध डांब्लई नig१ां । অ্যাজ রাতটা সন্ধ্যা এখানেই থাকিবে । আগে কিছুই ঠিক ছিল না, সকলের বিদায় নেওয়ার আগে । মোহন জানিত সন্ধ্যা গাড়ীতে আসিয়াছে, গাড়ীতেই বাড়ী ফিরিয়া যাইবে । বিদায় নেওয়ার সময় আসিলে সন্ধ্যা বলিয়াছিল, “বেশী খাওয়া হয়ে গেছে মোহন ।” ‘খারাপ লাগছে ?” “ভারি খারাপ লাগছে।’ “তই তো ।” “গাড়ীর বাকুনিতে যদি—” “তই তো ।” “থাক, আজ রাতে আর যাব না । গাড়ী ফিরে যাক। সকালে বরং ট্ৰেণেই ফিরে যাব। সকাল ছ’টা পৰ্য্যন্ত বাবা আমাকে গাড়ী ধার দিয়েছে, ফিরতে দেরী হলে চটবে।” “আমার গাড়ীতে পৌছে দিয়ে আস’খন।” সন্ধ্যা হাসে । ‘মুখ ফুটে একটু বলে এসব কথা নিজে থেকে ! রাতে এখানে থাকবার কথাটা তো যেচে বলতে হল আমাকে । তোমার মুখে খালি শুনলাম, তাইতো ! তাইতো ! যেচে যেচে তোমার কাছে সব আদায় করতে হবে নাকি ?” फुझेऊांब्रक ডাকিতে পাঠাইয়া সন্ধ্যা বলিয়াছিল, ‘মুখের ভাব হঠাৎ বদলে গেল যে তোমার ? কি হল ? অসুবিধে হয় যদি তো খোলাখুলি সেটা বলে ওর V9RF