পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী বারটার পর তোর জন্য কিছু রাখতে হবে না, তুই বাইরে থেকে খেয়ে আসবি। মিষ্টত পরিহার করিয়া হঠাৎ যেন রাগিয়া টং হইয়া যান। মা । ‘বাইরে খেয়ে খেয়ে কী চেহারাই করেছিস। দেখলে মনে হয় যেন বাড়ীতে মা বৌ ভাইবোন মাসীপিসী নেই, খেতে দেবার যত্ন করার কেউ নেই। সহরে এসে এমনভাবে তুই অধঃপাতে যাবি কথা শেষ না করিয়াই মা তাড়াতাড়ি চলিয়া গেলেন। এ যে তার রাগ ময়, এতবড় ছেলেকে ধমক দেওয়া নয়, এ শুধু মায়ের অভিমানের তিরস্কার-ও ছেলে কি আর তা বুঝিবে! মোহন খাওয়া ফেলিয়া উঠিয়া যাইবার কথা ভাবিতেছিল। মা চলিয়; যাওয়ায় সে আবার খাইতে আরম্ভ করিল। সত্যিই তার মনে ছিল না কবে ঝোকের মাথায় অপচয় কমাইবার জন্য সে হুকুম দিয়াছিল—তার জন্যও বেলা বারটার পর উনান জ্বলিবে না, বাড়ী ন? থাকিলে তার জন্য বিশেষ পদ কটা রাধাও হইবে না । মাঝে মাঝে চেনা লোকের বাড়ীতে এবং প্রায়ই সে হোটেলে খাইয়া আসে । স্নানাহারের পর বিছানায় চিৎ হইয়া মেজাজ ঠাণ্ড হইয়। তার ঘুম পাইতেছে, মা ঘরে আসিলেন । “কত খরচ হল রে কােল ?” 'ख्iक्रि •ा ।' ‘জানি না বললে কি চলে মনু ? একটু হিসেব করে খরচ করিস বাবা। শুধু খরচ করে যাওয়ার মত টাকা কি আছে আমাদের ?” “আচ্ছা আচ্ছা, সে হবে ।” “ব্যাঙ্কে আর টাকা নেই ? “আছে।” 'কাগজ ভাঙ্গালি কেন তবে হাজার টাকার ? মোহন বিছানায় উঠিয়া বসিল ৷—“তোমার এত টাকার চিন্তা কেন বলত মা?” মাও বসিলেন । র্তার মুখ শুধু মান নয়, গভীরও বটে। বেশ বুঝা যায় ছেলের রাগ ও বিরক্তিকে অগ্রাহ করিবার জন্য তিনি প্ৰস্তুত হইয়াই আসিয়াছেন। W\Or