পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা “তুই ওনাব মত একটু হিসেবী হলে চিন্তা হত না মনু।” “হিসেব আমার আছে। প্রথমটা খরচ একটু বেশী হয়, কত জিনিসপত্র কিনিলাম—” ‘অতি দামী সব জিনিস কেনার কি দরকার ছিল তোর ? বেশ, কেনাকাটায় যা যাবার নয় গেল, এমনি যে টাকা। যাচ্ছে জলের মত ? মাস মাস তিনশ’ টাকা বাড়ী ভাড়া ! আমি কি জানি এত ভাড়া এ বাড়ীর, দু’রাত ঘুম হয়নি। শুনে। তারপর দুটো চাকরি, একটা ঝি, ঠাকুর, ড্রাইভার—” 'কি হয়েছে তাতে ?” “আমন চোখ পাকিযে কথা বলিস নে মনু । উনি যেতে না। যেতে আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার শুরু করেছিস তুই—” না, মার চোখে জল আসে নাই, সুরাটা কান্নার নয়। এও তাব একটা নালিশ । একটা জোরালে প্ৰতিবাদ । ম। যে তাব এমন শক্ত মানুষ, এমন সতেজে তার সঙ্গে কথা বলিতে পারেন, মোহনের সে ধারণা ছিল না । জোর করিয়া সহরে টানিয়া আনায় মার রাগ হইয়াছিল, সে রাগ আর কিছুতেই কমিল না । মোহন বিশ্বাস করে, মার আসল জ্বালা সেইখানে, টাকা খরচ হওয়াটা বড় কথা নয। অন্যভাবে সে যদি আরও বেশী অপব্যয় করিত, দেশে থাকিয়া ধর্মেকর্মে, আশ্রিত-পোষণে, দেশের আত্মীয় বন্ধুর সঙ্গে আনন্দ উৎসবে—ম খুশী হইতেন । বহুদিন হইতে মারা মনে বোধ হয়। এই সাধটা লুকানো ছিল। কৃপণ স্বামীর মৃত্যুর পর বোধ হয়। আশা করিয়াছিলেন, ছেলে এবার তার সাধটা মিটাইবে। বিলাস ও বাহুল্য আসিল, দশজনকে লইয়া আনন্দ ও উৎসব শুরু श्श्न-क्ख्ि 35 হইল ভিন্ন একটা জগতে । নিজের জগৎ হইতে ছেলে তঁাকে এখানে ছিনাইয়া আনিয়াছে ! এখানে তঁার ভাল লাগে না মোটেই, এখানে কিছুই তার মনের \ଓ ଗଷ୍ଟ । ऊँद्ध 2ान् श्रटिश अgिछ ggeों । এ সব মোহন মোটামুটি বুঝিতে পারে। কেবল বুঝিতে পারে না মার চোখের জলের অভাবটী । মার শুধু সমালোচনা, তর্ক আর নালিশ, সারাদিন গজর-গজর করা। কোমর WO