পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী আর এক সের তামাক । বাকী সব কিছু তাদের জন্য। লাবণ্যের জন্য একটি 6नलाई-qद्ध कल७ छिल । ছেলে মেয়ে, ছেলের বৌ, নাতি নাতনীর জন্য সেই তার প্রথম আর শেষ বাজার করা নয়। কার কি বাজার চাই জানিয়া কোন চাওয়া বাতিল আর কোন চাওয়া মঞ্জুর করিতেন, তারপর লম্বা ফর্দ নিয়া বছরে তিন চারবার আসিতেন। কলিকাতা। বাঁচিয়া থাকিতে বাপের বিরুদ্ধে মোহনের অনেক অভিযোগ ছিল, এখন সে কেবল দুঃখ বোধ করে। আজীবন এক সঙ্গে থাকিয়াও সে তার জীবনযাপনে সামঞ্জস্যহীন হিসাবের মৰ্ম্ম বুঝিতে পারে নাই, এখনো পারে না । জীবনে তার সবচেয়ে বড় কথা ছিল হিসাব এবং সে হিসাব ছিল লক্ষ্যহীন জড়ধৰ্ম্মী বিকার । বাপের অসাৰ্থক, অসম্পূর্ণ, বঞ্চিত জীবনের কথা ভাবিয়া মোহন আজও গভীর বিষাদ অনুভব করে । পীতাম্বর বলে, “দেশ থেকে কোন চিঠিপত্তর পেয়েছ বাবা ? “ঘনশ্যামের চিঠি পেয়েছি।” “কিছু লিখেছে নাকি, আমার বাড়ীর খবর ?” ' || “চিঠি আসে না; কদিন থেকে ভাবছি কি হল । কি লিখেছে ঘনশ্যাম ? ফসল কেমন হল জানিয়েছে কিছু ? তেমাথায় টিউবওয়েল বসিয়েছে নাকি ? বসাবে বসাবে করে দু’বছর ঘুরে গেল, চোত মাসটা ফের শীলপুর থেকে জল এনে খেতে হবে ।” rআলো ঝলমল বাড়ীর দিকে চাহিয়া নিমন্ত্রিতদের হাসি ও কথার মিশ্র কলরব শুনিতে শুনিতে পীতাম্বর ভাবিতেছে দেশে তার আপনজনের কথা, ফসলের কথা তেমাথার টিউবওয়েল বসানোর কথা ! কি হইতেছে বাড়ীর ভিতরে দেখিয়া আসিবার কৌতুহলণ্ড হয় না মানুষটার ? 'খেয়ে এসেছেন ?? “এইবার যাব, এক ফঁাকে গিয়ে খেয়ে আসব।” বাড়ীর ভিতরে গিয়া ঝরণাকে দেখিয়া মোহন স্বস্তি বোধ করিল। এতক্ষণ V8 S.