পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা এইটুকুই সে আশা করিতেছিল। ঝরণা রাগ করিয়া চলিয়া গিয়া থাকিলে এক বিষয়ে মোহনকে হতাশ হইয়া যাইতে হইত। এখনো তার আশা আছে যে নগেন আসল কথা কিছু বুঝিতে পারে নাই, ছেলেমানুষ তো নগেন। ঝরণা যে অপমান পাইয়। রাগ করিয়াছে তাও হয়তো 6म SCन्म ब्ा । ঝরণা রাগ করিয়া না খাইয়া চলিয়া গেলে নগেনের কিছুই বুঝিতে বাকী থাকিতে না । ঝরণার সংযমে মোহন রীতিমত রুতিজ্ঞতা বোধ করে, হঠাৎ অসভ্যতা করিয়া ফেলার জন্য তার লজ্জা ও অনুতাপ বাড়িয়া যায় । নিজের অসঙ্গত ব্যবহারের একটা অজুহাত সে ইতিমধ্যে আবিষ্কার করিয়া ফেলিয়াছে। এ তার দীর্ঘকাল গ্রামে বাস করার ফল, যেখানে নির্জনে কোন ছেলের সঙ্গে একটি মেয়েকে, বিশেষত ঝরণার মত রূপসী মেয়েকে কথা বলিতে দেখিলেই মানুষ যা তা ভাবিয়া বসে। নিজের ব্যবহারের জন্য নিজের অতীত জীবনকে দায়ী করিয়া-ঝরণাকে সহজভাবে চলাফেরা করিতে ও কথা বলিতে দেখিয়া ক্রমাগত বেশী বেশী দায়ী করিয়া-মোহনের আরও খারাপ লাগে। তার মত অমাজ্জিত সঙ্কীর্ণ গেয়ে! মানুষের পক্ষে ওরকম অসভ্যতা করাই স্বাভাবিক ভাবিয়া যদি ঝরণা তাকে উদারভাবে ক্ষমা করিয়া থাকে, তার চেয়ে ব্যাপারটা আরও কুৎসিত দাড়ানো ঢের ऊाब्ल छिल । অতি কষ্টে, অনেক চেষ্টায়, সহজভাবে এক সময় মোহন ঝরণাকে বলে, “তুমি খাবে না। ঝরণা ?” “একটু পরে খাব।” “চিন্ময় তাড়াতাড়ি চলে যাবে বলছে। ও চলে যাক, তোমায় পৌছে দেবার ব্যবস্থা করব। আমিই না হয় দিয়ে আসব। কেমন ? 'उाष्छि ।' ঝরণার এই আরও বেশী উদারতায় মোহনের স্বস্তি যেমন বাড়ে, তেমনি নিজেকে আরও বেশী বেশী গেয়ে মনে হয় ! যাওয়ার সময় ঝরণা। কিন্তু তাকে কিছু না বলিয়াই চলিয়া গেল ! সঙ্গে গেল নগেন । " V93 R.