পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী মধ্যে সে কি হইয়া গিয়াছে! চোখের সামনে বদলাইয়া না গেলে হঠাৎ দেখিয়া হয়তো সে পীতাম্বরকে চিনিতেই পারিত না । বাড়ীর লোকেও অবাক হইয়া তাকে দ্যাখে, নানা রকম জল্পনা কল্পনা করে। লাবণ্য বলে, ‘চালাক চতুর মানুষ তো, ফন্দিাফিকির করে পয়সা উপায় করছে। মোহন বলে, “কিছু কিছু উপায় করছে সেটা বোঝাই যায়—কি ভাবে করছে তাই ভাবছিলাম।” পীতাম্বরকে জিজ্ঞাসা করিবে ভাবিয়াও এইজন্য মোহন সঙ্কোচ বোধ করিতেছিল । সদুপায়ে-পাচজনকে অনায়াসে জানানো যায় এমন উপায়ে - পীতাম্বর ইতিমধ্যেই কলিকাতা সহবে পয়সা রোজগার করিতে আরম্ভ করিয়াছে, এটা তার বিশ্বাস হইতে চায় না । জিজ্ঞাসা কবিয়া পীতাম্বরকে শুধু বিব্রত করা হইবে। — বানাইয়া বানাইয়া কতগুলি লাগসই মিথ্যা বলিতে বাধ্য করা হইবে। একদিন মোহনের মনে হইল যে পীতাম্বর তার বাড়ীতে থাকে, পীতাম্বরের পযসা বোজগারের উপায়টা প্ৰকাশ পাইয়া গেলে তাকে বিব্রত হইতে হইবে ब| ८ऊ ? পরদিন সকালে পীতাম্বরের বাবু সাজিয়া বাহির হওয়ার সময় সে তাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘কাজকর্ম কিছু করছেন নাকি ?” ‘হ্যা, বাবা, করছি কিছু কিছু।” “কি কাজ ? “এই ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি এটা ওটা ।” মোহন আশ্চৰ্য্য হইয়া যায়। এটা ওটা বিক্ৰী করিতে হইলে আগে তো এটা ওটা কিনিতে হয়! সে টাকা পীতাম্বর পাইল কোথায়? ওর কলিকাতায় আসিবার গাড়ী ভাড়াটা পৰ্য্যন্ত তাকে দিতে হইয়াছিল। “কি বিক্ৰী করেন ? “এই সাইকেল, সেলায়ের কল, রেডিও, মোটর গাড়ী ‘বলেন কি ?” পীতাম্বরকে খুব খুশী মনে হয়। একটু গর্বের সঙ্গেই সে বলে, 'ई, बांबा, Vict