পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা শোনােচ্ছ এমনি করে ? ভাসিয়ে দিয়েছ দিয়ে দিয়ে। আমি তাই চুপ করে থাকি, ভাবি আসবে যাবে মায়া জন্মাবে, নিজে থেকে দেবে-আমি কেন চাইতে যাব ! নইলে দশ গুণ আদায় কবিতাম তোমার ঠেয়ে ।” কথাটা মিথ্যা নয়, দেন। পাওনার হিসাবে দুর্গ। এ পৰ্য্যন্ত শুধু ঠাকিয়াছে। আর কেউ হইলে তাকে ঘরে ঢুকিতে দিত না । শ্ৰীপতির যেন মনেই ছিল না। এটা দোকান, এখানে দাম দিতে হয়। দুৰ্গা আসিতে বলে তাই সে আসে বটে, কিন্তু কেউ তাকে বাধিয়া আনে না । দাম দিতে কষ্ট হইলে না আসিতে তাব কোনই বাধা নাই ! ঝগড়া হইল। এই পৰ্য্যন্ত, দুজনে চুপ করিয| বসিয়া রহিল। কি একটা ঝগড়াই শ্ৰীপতি কল্পনা কবিয়াছিল,—জ্যোতি আর চাপার মধ্যে মাঝে মাঝে যেমন হয় । ওদের একটি ঝগড়া সে দেখিয়াছে। তীক্ষা তীব্ৰ অশ্রাব্য সব কথা শুনিলে কানে আঙ্গুল দিতে ইচ্ছা হয়, ভাবা যায় না। এ জীবনে কোনদিন একজন আরেকজনের মুখ দেখিবে। আজ তাদের * দুজনের প্রয়োজনীয় ঝগডাটা যেন আরম্ভ হওয়ার আগেই ঠাণ্ড| श्श। 66ाल । তাই বটে, চাপা অনেক দিন এ লাইনে আছে, চাপার সঙ্গে কোন বিষয়েই পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা দুৰ্গার নাই । দুৰ্গা মুখ ভার করিয়া বলে, “রাগ কবে না। বাবু। ঝগড়াঝাটি আমার সয় না। সাধ না গেলে একটি পয়সা। তুমি আমায় দি ও না। আজ পৰ্য্যন্ত চাইনি, কখনো চাইবো না ।” “তোমার চলবে কিসে ?” ‘তুমি চালাবে। পাষাণ নাও তো তুমি, মান্স। খেতে পরতে পাই না, দেখলে সইবে তোমার ? আজি না দাও, একদিন যেচে তুমি আমায় কাপড় দেবে, গয়ন। দেবে। নেব না বললে বরং রাগ হবে তখন। সেদিন আসুক, আমি চুপ कcद्ध डांछि ।' কদমের সতীনের মত যেন কথা বলে দুর্গা, তার বিয়ে করা বৌ-এর মত। এই তবে মতলব দুর্গার, আগে তাকে মায়ার বাধনে বঁাধিবে, তারপর ভাগ বসাইবে কদমের পাওনায় ? দুৰ্গা চা আনিয়া খাওয়ায়, গা ঘোঁসিয়া বসে, হাই তুলিয়া হাসে, বলে যে অন্য \s) Գ Պ