পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী অথচ তার দু’বেলা পেট ভরার ব্যবস্থা যে মা’র হাতে এটা মোহন জানিয়া শুনিয়া মানিয়া নিয়াছে। মাের হুকুম না শুনিলে তাকে যে না খাইয়া খালি পেটে কারখানায় খাটিতে যাইতে হইবে এই সোজা কথাটাও কি খেয়াল নাই মোহনের ? আট সন্ধ্যা সেদিন সকালে পায়ে হঁটিয়া আসে এবং বিস্মিত মোহনকে প্রশ্ন করিবার সুযোগ না দিয়াই একেবারে ব্যাখ্যাটা শুনাইয়া দিয়া মোহনকে চমৎকৃত করিয়া দেয় । “তোমার বন্ধুর বাড়ীতেই স্বামীসোহাগিনী হয়ে রাত কাটিয়েছি মোহন। আমন করে তাকিও না মোহন । আমি যেচে আসিনি, বাধ্য হয়ে আসতে হয়েছে।” ঝরণার সেই হুমকি মোহনের মনে ছিল। যে ভাবে পারে সন্ধ্যাকে সে জব্দ করিবে বলিয়াছিল, দরকার হইলে বন্ধুকে দিয়া দাদাকে নষ্ট করাইয়া সন্ধ্যাকে জব্দ করিবে ।

  • व्र* ?'

“দূর! আমায় আসতে বাধ্য করবে ঝরণা ? অতি মুরোদ থাকলে বোকাসোক ছেলেমানুষদের বাগাতে যেত না ।” ঝরণা আর নগেনের নিদারুণ সমস্যাটা সে যেন খেলার ছলেই উল্লেখ করে, তার কাছে যেন একেবারে তুচ্ছ কথা বয়সে ছ’সাত বছর বড় ঝরণার নগেনকে বাগানোর প্রচেষ্টা । মোহন মুখ খুলিতে যাইতেই সন্ধ্যা অপরূপ ভঙ্গিতে আঙ্গুল উচাইয়া তাকে থামাইয়া দেয় । বলে, “ওদের কথা পরে বলব মোহন, আগে আমার কথা শোন ।” বলিয়া সে হাসে, “শুধু নিজের কথা বলতে এসেছি ভেবো না। নগেন আর ঝরণার ব্যাপারে তোমাকে এক বিষয়ে সাবধান করে দিতেও এসেছি।” নিজের কথাটাই সন্ধ্যা আগে বলে, ব্যাখ্যা করিয়া বিশ্লেষণ করিয়া বুঝাইয়া দিবার চেষ্টা করে সে কেন চিন্ময়ের কাছে ফিরিয়া আসিয়াছে। \©ጋቱም