পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরবাসের ইতিকথা "এতদিনে একটু বুদ্ধিশুদ্ধি হয়েছে তোমার বন্ধুর। পাগলের মত ভালবেসেই যে বৌকে বশে রাখা যায় না। এটা বুঝে গেছে।” টেলিফোন কবিয়া সন্ধ্যা টাকা চাহিলেই চিন্ময় লোক মারফতে টাকা পাঠাইয়া দিত । কিছুদিন হইতে সে টাকা পাঠাইতে টালবাহানা শুরু করিয়াছিল-টাকা পাঠাইতে বিলম্ব হওয়ার জন্য, সন্ধ্যার দাবীর চেযে কম টাকা পাঠানোর জন্য, খুব আপসোসের সঙ্গে নানা রকম জটিল আর এলোমেলে কৈফিয়ৎ দিতে শুরু করিয়াছিল । “এমন করে কথা বলত চিঠি লিখিত যেন সময়মত আমার দরকারের সব টাকাটা পাঠাতে না পেরে দিজের হাত পা কামড়ে মরে যেতে চাইছে। আমি যেন রাগ না করি সেজন্য সে কি করুণ মিনতি-চিঠি পড়লে বন্ধুর জন্য তোমার চোখে জল আসত মোহন। আমিও প্রথমটা বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম, সত্যিই বুঝি মুস্কিলে পডেছে। তারপর বাড়াবাডি দেখে টের পেলাম যে এটা নতুন চাল। একেবাবে মবিয়া হয়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করে আমাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে।’

  • ভূল চাল দেয়নি দেখাই যাচ্ছে।” এটা বিষম খোচা । সন্ধ্যা কোনদিন খোচা দেওয়া ঠেস দেওয়া কথা সহিতে

পারিত না । আজ সে অনায়াসে হাসে । “তুমি ছাড়া আমার বন্ধু নেই-তই মনের ভেতরের কথাটা তোমায় খুলে বলছি। মেয়েমানুষ মনের কথা কারো কাছে ফাস করে না।—মুস্কিল হয়, বিপদ বাডে বলেই ফাস করে না । আমাদের বঁাচার যে কত কষ্ট কত বিড়ম্বন| তুমি ধারণা ও করতে পারবে না। তুমি বন্ধু বলেই তোমায় খুলে दलछि ।” মোহন চুপ করিয়া থাকে। লাবণ্যের মুখেও এই বকম কথা সে শত শতবার শুনিয়াছে যে তার যন্ত্রণ পুরুষ মানুষ সে কি বুঝিবে ! সন্ধ্যা সোফায় এলানো গা তুলিয়া সোজা হইয়া বসে, তার একমাত্র পুরুষ বন্ধুর দিকে আগুনের ঝালক-মারা চোখে চাহিয়া বলে, “তোমরা পুরুষরা আমাদের কি মনে করা বলত ? তোমরা ব্যবস্থা করবে, আমরা তাই মেনে নেব ? তোমাদের আইন কানুন উল্টে দেবার জন্য আমরা তাই কোমর বেঁধে লড়ছি।” 'ਲੁਢ ? 'व्लgछेि