পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী “যারা আইন বানায় তাদের সঙ্গে সোজাসুজি নয়, তোমাদের সঙ্গে সোজাসুজি লড়ছি। সব কিছু পাণ্টে না দিলে আমাদের আর হাসিমুখে পাশে পাবে না।” ‘টাকা বন্ধ করেই পাশে টেনে এনেছে, এ কেমন লড়াই তোমার ?” ‘পাশে আগে ছিলাম-বনিবন্যা হল না, সরিয়ে দিল । চাপ দিয়ে আবার পাশে টেনে এনেছে। হাসি মুখে এসেছি ভেবেছ নাকি ? গায়ের জোর,-মানে টাকার জোরে পায়ে টানার মজাটা বন্ধু তোমার টের পাবে ।” আবার গা এলাইঘা দিয়া সে সহজ সুবে বলে, “যাক সে। ওসার কথা নিয়ে থিয়োরির তর্ক জুডাতে আসিনি। হিসাবনিকাশটা খুলে বলি তোমাকে।” সে একটু থামে। ‘বুঝলাম, একেবারে মরিয হলে উঠেছে। হয় তো একদিন টাকা আর রিভলবার নিয়ে যাবে, টাকাটা হাতে দিয়ে আমায় গুলি কবে নিজের মাথায় গুলি করবে। তাই বাধ্য হযে সামলাতে আসতে হল ।” “সামলে কি করবে ? ‘জানি না । ঠিক করিনি।” সোফায় এলানো সন্ধ্যা যে সাপিনীর মত ফণা তুলিয়া সামনে ঝুকিয়া ফুসিয়া বলে, “সামলাবার দায় আমার কেন বল তো ? টাকায় কেন। বৌ বলে ? সামলাতে দু’চাব মাস লাগবে । ছেলে হোক মেয়ে হোক একটা ঘুষ দিতেই হবে এবার— নইলে সামলানো যাবে না । টাকায় জব্দ করে আমাদের মা করে, ধিক তোমরা পুরুষমানুষ !” মোহন ভাবে, পুত্রার্থে ক্রীয়তে ভাৰ্য্যার নীতি কি আজও চালু আছে—চিন্ময় সন্ধ্যাদের সামাজিক স্তরেও ? নগেন আর ঝরণার ব্যাপারে সন্ধ্যার মন্তব্য শুনিবার জন্য সে ব্যাকুল হইয়া ऐठैिशछिल । নগেনের সমস্যা তাকে প্ৰায় পাগল করিয়া তুলিয়াছে। সন্ধ্যা এক রকম যাওয়ার মুখে নগেন ও ঝরণার প্রসঙ্গ তোলে। “এ ব্যাপারে একদম চুপচাপ থাকবে মোহন, কিছুই করবে না। কিছুই বলবে না। হস্তক্ষেপ করতে গেলেই তুমি ঝরণাকে জিতিয়ে দেবে, তোমার সর্বনাশ হয়ে যাবে।” Ved e