পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোমান্স “আচ্ছা, তাই যাব সুখময়ী, সব বেচে দিয়ে তোমায় নিয়ে বিদেশে যাব। কিন্তু ८न ८ङा छbाद्र gिन्म शहद बा-' “মোক্তারি জানো বটে তুমি সুবলবাবু। দাড়াও আমি আসছি কলসী রেখে ।” কাখে কলসী তুলতে গিয়ে সুখময়ী আজ বোধ হয় এই প্ৰথম টলে পড়ে গেল । কলসীর জল শুষে নিল মাটি, আর তার ভিজে কাপড় কুড়িয়ে নিল মাটির লাল ধুলো । “আদেষ্টে কত আছে!’ বলে মাটি থেকে উঠে দাড়িয়ে ভোতা গলায় সে বলল, “দাড়াও বাবু। একটু সাবুন আনি, নইলে এ মেটে রঙ ওঠবার নয়। ফের নাইতে হবে।” বাড়ির অঙ্গন শূন্য, ঘরের বাইরে কেউ নেই। বাইবে কেউ থাকেও না। এ সময় । সুখময়ী রোধে বেড়ে খাইয়েছে সবাইকে, আর কোনো কাজ কারো নেই। রসুই ঘরের দাওয়ায় একতাড়া মাজ বাসন ৷ ঘাটে গিয়ে বাসন মেজে এনে তবে তার কলসী নিয়ে নাইতে যাবার ছুটি হয়। কলসী ভরে জলটি আন চাই। পূবের ঘরে নটবর হুকো টানছে, কথা বলছে পাড়ার কানাই ধরের সঙ্গে । শাশুড়ী শুয়েছে, নটবরের বৌ-মারা ভাই তার সঙ্গে পরামর্শ করছে আগামী বিয়ের-জ্যৈষ্ঠ মাসের সাতুই আসতে মাসেক সময় নেই! বাড়ির কুকুরটা উঠে এসে লেজ নেড়ে অভ্যর্থনা জানাতেই সুখময়ী তাকে একটা লাথি কষিয়ে দিল। আর সেই অবোধ প্ৰাণীর কেঁউ কেঁউ আত নাদ শেষ হবার আগেই রসুই ঘরের দাওয়ায় বাসনের গাদায় আছড়িয়ে পড়ে শুরু করল নিজেব আত নাদি—একটু চাপ, একটু অস্বাভাবিক সুরে। ভয়ে তার গা কঁপিছিল । সবাই ছুটে এল। একসঙ্গে শুধোতে লাগল, কী হয়েছে ? বৌকে জড়িয়ে ধরে নটবরের মা জুড়ে দিল কান্না। কুকুরটা তখনো কেঁউ কেঁউ করে মরছে ! সুখময়ীর বুকের মধ্যে টিপটপ করছিল। কী থেকে কী হবে তা ভগবান জানেন, এই তার শেষ লড়াই । সুখময়ী কেঁপে কেঁপে কেঁদে কেঁদে বলল, “বডড ভয় পেইছি মা। বুকটা ধড়াস ধড়াস করছে। কত বলি একলাটি ঘাটে যেতে ডর লাগে, কেউ তো যাবে না। সাথে। নইলে কি ওই মুখপোড়া সুবল মোক্তার—” শুনে সবাই একসাথে চুপ মেরে গেল। ইতিমধ্যে পাশের দুবাড়ির মেয়ে-পুরুষ 8