পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী ছুটে এসেছিল। তারাও হঠাৎ চুপ হয়ে গেল। জন্ম-বোবার মতো। নীরবে মুখ চাওয়াচাওয়ি ছাড়া কি আর করার আছে এমন একটা অসম্পূর্ণ খবর শুনে ? নটবরের মা'র কান্না থেমে গিয়েছিল, প্ৰথমে অধীর হয়ে শুধোেল, “কি করেছে সুবল মোক্তার ? অ, বৌ, বলনা কী করেছে সুবল মোক্তার ?” ‘বাগানে একলাটি পেয়ে হাত চেপে ধরেছিল। গো, কলসী ফেলে পালিযে এইছি। ছুটতে ছুটতে আছােড় যা খোইছি কবার-হা দ্যাখো।' } হাতের তালু আর কাপড়ে রক্ত-মাটি ও রক্তের দাগ সে দেখিয়ে দিল । কয়েকজনের চাপা নিশ্বাস পড়ল একটু নিবাশার সঙ্গে, কতবড় সম্ভাবনার এই পরিণতি । শুধু হাত ধরেছিল! দুপুর বেল। জনহীন বাগানে মেয়েমানুষকে নাগালে পেয়ে শুধু হাত ধরেছে সুবল মোক্তার ? মামলা মোকদ্দমা হবে না, ব্যাপারটা চাপা পড়ে যাবে আজকালের মধ্যে। একি একটা ঘটনা! : তবু সবাই ছি-ছি করে আর সুবল মোক্তারকে গাল দেয়। বাগানে গিয়ে তাকে শাসন করে আসার কথাটা কেউ ভাবে ও না, বলেও না । শেষে সুখময়ীকেই ঝােঝ দেখিয়ে বলতে হয়, “অ ঠাকুরপো, দাডিয়ে শুধু জটিল করবে তোমরা ? যাও না, দুঘা দিয়ে এসে না বহুজাতিটাকে ?” নটবরের মা বলে, “চুপ কৰু মাগী, চুপ কর।” ‘কোন চুপ করব? আমার হাত ধরবে, তোমরা তা চুপ করে সয়ে যাবে!’ নটবর বলল, “ও শালা কি আর আছে, পালিয়ে গেছে।’ “থাকতে তো পারে ? কলসী আনতে ফিরে যাব ভেবে থাকতে তে পারে ঘূপচি মেরে ? যাও না একবার, দেখে এসো।” তখন নটবর, শশধর, নিতাই আর পাড়ার একজন সুবলিকে খুজতে যায়, নটবরের মা চেচিয়ে বলে দেয়, “কলসীটা আনিস কেউ । শুনছিস কলসীটা আনিস।” সুখময়ীকে ঘিরে মেয়েদের জটিল চলতে থাকে। চারিদিকে তারা রটাবে, তবু তারাই বলে যে এমন হৈ-চৈ করা উচিত হয়নি। সুখময়ীর, জানাজানি হওয়া কি ভালো ! চুপিচুপি শাউড়ি বা সোয়ামিকে বললেই পারত সে, পুকুরঘাটে যাওয়ার সময় একজন কেউ সঙ্গে যেত। সুখময়ী শুনে যায়, কথা বলে না। নটবরের মা’র চাপা আপসোস আর গালাগালির জবাবে শুধু ফোস করে ওঠে। সুবলকে পাওয়া গেল কঁঠাল বাগানেই, কিন্তু ধরে মারবার সাহস হল নী 呜夺gó同91 و&8S