পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांनिक @हवकी এখান্তে এসে পা নামিয়ে বসেছেন। হাতের সঙ্গে গড়গড়ার নলটা কঁপিছিল, হঠাৎ সেটা তিনি ছুড়ে দিলেন। দু’হাতে ফরাসের প্রান্ত চেপে ধরে মিনিট খানেক চুপ করে রইলেন। মেঝে মাত্র আধহাত নীচে। হাঁটু দুটি উচু হয়ে রইল। হাতে ভর দিয়ে তিনি যেন দোল খাবার জন্য প্ৰস্তুত হয়েছেন, দোল খেতে খেতে ডিগবাজী খাৰার কসরৎ দেখাবেন, কুৰ্ত্ত গায়ে সরুপাড় কেঁচানো ধুতি পরা অভিনব এক অভিজাত অ্যামেচার ম্যাজিকওয়ালার মত হঠাৎ+জাগা খেয়াল-খুন্সীতে একটু তামাসা করবেন। শুধু বসবার ভঙ্গিতেই হঠাৎ তিনি যেন ওজন হালকা হয়ে গেলেন । এটা দেখবার চোখ অবশ্য ছিল শুধু কৃষ্ণেন্দুর। সে একটু নিশ্চিন্ত হল। BDBDDBB BDDLD DBDDDD D BBS BBDD DuB DLD BBBDB DBBBDBDS “তুমি ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়ে আমায় কাবু করতে চাও ?” “ন-ভয় দেখানো হুমকি দেবার কোন কথা নেই । একটা বিশ্ৰী অন্যায় হয়েছে, আমি তার প্রতিকার করতে চাই । আমি আপনার বড় ছেলে, আমার ত্রিশ বছর বয়স হয়েছে, আমার নিশ্চয় এটুকু অধিকার আছে । আপনি যদি তা স্বীকার না করেন, বিদায় হয়ে যাওয়া ছাড়া আমার উপায় কি আছে বলুন ?” লোকনাথ হঠাৎ শান্ত হয়ে যাওয়ায় হীরেনও খানিকটা প্ৰকৃতিস্থ হয়েছিল । একটু থেমে সে বুদ্ধিমানের মত যোগ দিল, “উমাপদ সোজাসুজি কাউকে মেরেছে শুনলে আমার এত রাগ হত না বাবা । একজনকে মেরে সবাইকে ধাপ্পা দিয়ে ফের আবার পুলিশ আনিয়ে সবাইকে সে মারা খাইয়েছে। কি বীভৎস নোংরা কাণ্ড ।” “নিজেকে বঁাচাবার জন্য ওরকম অবস্থায় পড়লে তুমিও পুলিশ ডাকতে।” “না । পুলিশ না ডেকে গলায় দড়ি দিতাম। কিন্তু এও জানবেন, ওরকম অবস্থাতে উমাপদরাই পড়ে, আমি কখনও পড়তাম না । একজনকে কেন, আমি আপনার যে কোন কারখানায় গিয়ে অন্যায় করে যদি দশজনকেও জখম করি, অপমান করি, তারা আমার কাছেই নালিশ করবে, আমাকে মারতে আসবে না ।” 88