পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনজন যৌবন কটি গেঞ্জি ধার নিয়ে গায়ে চাপিয়ে সে বলেছে, “এত অল্পে ক্ষেপে গেলে বড় कांड इश् व् ।' 喘 “অল্প । হিসেব মতো একটা কাজ হচ্ছেনা, সব পরিকল্পনা ভেন্তে যাচ্ছে, ত সুবিধে দেওয়া হচ্ছে শূয়ারক বাচ্চাগুলোর ততই বজাতি বাড়ছে, এ হল তোমার অল্প! তুমি, দিবাকর, দীনেশবাবু সবাই তোমরা অপদাৰ্থ, শুধু স্বপ্ন দেখতে জানে ৷” মুষড়ানো মন নিয়ে নির্মলেন্দু গুম খেয়ে থাকে। কেউ যেন ভালো চায় মা, উন্নতি চায় না । জেলায় বার-তের হাজার তাতি পরিবার। তাত বোনে । হাটে বাজারে সুতো কেনে আর দিনের পর দিন এক ধাচের সস্তা কাপড় বুনে যায়—শতকরা সত্তর ভাগ তার শাড়ি। দূরে কোনো অজুহাত সৃষ্টি হয়, কারও একটু খেয়াল জাগে, হাটে বাজারে সুতোর দাম চড়ে যায়। সাড়ে সাতশো তীতি নির্মলেন্দুর প্রজা । অন্তত এই জেলার তঁতিদের সরবরাহের জন্য স্পিনিং মিল করা আর তার নিজের প্রজা তাঁতিদের নতুন নতুন ডিজাইন শেখান খুব সহজ মনে হয়েছিল । সমুদ্রের লোনা স্নেহে এ জেলায় শ্যামল সতেজ নারকেল গাছের ছড়া-ছড়ি-নিউ ইণ্ডাস্ট্রির অজস্ৰ মেটিরিয়াল। ভূমিহীন কর্মহীন মানুষের বাঁচবার নতুন উপায়। ব্যবসায়ী-জমিদার বাপের সঞ্চয়-ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়ার মতো নির্মলেন্দু ঘুরে ঘুরে লোকের অবস্থা দেখে বেড়িয়েছে আর . জনসংখ্যা, চাষের জমি, গৃহশিল্প, আমদানি রপ্তানী, লাভ লোকসান এই সব হিসাব নিয়ে মাথা ঘামিয়েছে। একটানা দিন পনেরোর বেশী নয়। কারণ, এরা ধ্বংস হয়ে গেল, এরা যে ধ্বংস হয়ে গল, এই মন্ত্রের আবৃত্তি মনের মধ্যে প্রতিদিন দ্রুত থেকে দ্রুততর হয়ে উঠতে উঠতে এক পক্ষের মধ্যেই সাইরেনের আওয়াজের মতো অসহ্য হয়ে উঠেছে। তখন কলকাতায় পালিয়ে গিয়ে রাতের পর রাত শুনতে হয়েছে সঙ্গী-সার্থীর কর্কশ। কালাহলকে ছুরি দিয়ে কাটার মতো তীক্ষ্ম কণ্ঠের গান, চুমুকের পর চুমুক দিতে হয়েছে গেলাসে আর অনেক রকম পাশবিক প্রক্রিয়া দিয়ে করতে হয়েছে শিক্ষাভদ্রতার সঙ্গে প্যাচে প্যাচে জড়ানো বর্বরতাকে মুক্ত করার ব্যর্থ প্ৰয়াস । তারপর শ্রান্ত হয়ে একদিন দাড়ি কামিয়ে, স্নান করে পোশাক বদলে |ায়বাহাদুরের বাড়িতে গিয়ে একবার, শুধু একবার, বাহুর বঁাধনে ধরা দেবার ষ্টি মাধবীকে মিনতি করা এবং এই মাটির সহরে ফিরে এসে তাদের কথা নিয়ে 8RV)