পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিশেহারা হরিণী দাদা ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করে বলেন, 'ওটা হল ধূমকেতু। শূন্য থেকে পৃথিবীর বাতাসে এলে জ্বলে উঠে। ওসব দেখে ভয় পাসনি মিগু।” V “ভয় পাব কেন ? যতীন শোবার ঘরে গভীর মুখে চেয়ারে বসে চুরুট টানছিল, প্ৰায় নিঃশব্দে বলল, “বোস, মিগু ।” বসবার চেয়ারটাও সে দেখিয়ে দিল, পাচ সাত হাত তফাতে। মৃগনয়ন হেসে তার চেয়ারের হাতলে বসে বললে, “তোমার যে কি এক বাতিক। আগে দূরে চেয়ারে বসে নানা ছলে একটু একটু করে কাছে আসতে হবে। আজ আমার অত সময় নেই, মুখের ভাত ফেলে এসেছি।” “তোমার নাকি আজ ফিট হয়েছিল ?” ‘কে বললে ? ছাতে এক এক ভগবানকে প্ৰণাম করছিলাম, সবাই ভাবল কি যেন হয়েছে। বৌদি ডাকতেই উঠে বসলাম, ফাজলামি করে বললাম, আকাশে একটা আগুনের গোলা দেখে ভয় পেয়েছি। আসলে কি দেখেছিলাম জানো ?” বিস্ময়ে দুচোখ বিস্ফারিত করে চিন্তার চাপে ভুরু কুঁচকে বললে, “কি দেখেছিলাম ? কিছুই তো দেখিনি।” যতীনের কাধে হাতের ভর দিয়ে মৃদুস্বরে বললে, “দেখিনি তো দেখিনি। বয়ে গেল ।” যতীন অনুভব করল, সে কঁপিছে। সমতল পথে খুব স্পীডে চালালে তার , গাড়িটা যেমন র্কাপে । যতীন স্বাভাবিক গলায় বললে, “যাকগে ওসব বাজে কথা। এমনি ভাবে ঘুরিয়ে কঁধে মাথা রাখে। তারপর মিন মিন করে সেই গানটা শোনাও তে। তুমি গাইবে আর আমি শুনিব, আর কেউ না। বড় ভালো মেয়ে তুমি মিগু, বড় ♥iርጫ] CaIርቧ |” বাড়ি ফিরে মৃগনয়ন সবে ভাত খেয়ে ওপরে তার ঘরে গেছে, ঝড়ের বেগে বিশু এসে হাজির। এ বাড়িতে তার ছেলেবেলা থেকে যাতায়াত, মৃগনয়নার সঙ্গে অনেক দিনের ভাব। এখন সে এম-এ পড়ে ও মৃগনয়নাকে পড়ায়। কি করে যে এ বন্দোবস্তটা স্থির হল বাড়ির লোকেরা কেউ খেয়ালও করেনি। মৃগনয়নার So Ro(t)