পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী জন্য একজন মাস্টার রাখার প্রশ্ন উঠেছিল। একদিন দেখা গেল প্রশ্নের মীমাংসা श्श 6igछ । বিশু ব্যগ্ৰকণ্ঠে মৃগনয়নার মাকে জিজ্ঞেস করল, “কেমন আছে ? মা বললেন, “ভালো আছে। তেমন কিছু হয়নি। এই তো ভাত খেয়ে NG에T (하 1’ বিশু যখন ওপরে গেল, মৃগনয়না ঘরের দরজার ভারি পর্দাটা দুপাশে ভালো করে টেনে দিচ্ছে। বিশুকে ধরে ভেতরে ঠেলে দিয়ে পর্দাটা ঠিক করে সে মুখ ফেরাল । s "এত রাতে সবার শেষে উনি খবর নিতে এলেন। কী দরদ ”ি “আমি কি জানতাম ? এইমাত্র খবর পেলাম।” “অন্য সবাই খবর পেল কি করে ? খবর যে রাখতে চায়, খবর তার জোটে।” বিশু বিব্রত হয়ে বলল, “তোমাকে শোনাবার জন্য বঁশি বাজাচ্ছিলাম।” মনে হল ছাতে তুমিই ঘূরছ, তাই একটু বাজালাম। শোন নি ? মৃগনয়ন চুপ করে একটু ভাবলা। তারপর হঠাৎ উচ্ছসিত হয়ে বলল, “হ্যা, তাই তো ! তোমার বঁাশি শুনতে শুনতেই ভগবানকে প্ৰণাম করলাম। এমন করে বাজাও তুমি, এমন অস্থির অস্থির করে আমার!' বিশু মুখভার করে বলল, “ও, তামাসা হচ্ছে!” মৃগময়না বিস্মিত হয়ে বলল, “ক্ষেপেছ নাকি ? তামাসা নয়-সত্যি সত্যি जठिा ।' মৃগনয়না চট করে পর্দার ফাকে উকি মেরে দুহাত সামনে তুলে ধরে সোজা হয়ে দাঁড়াল। তেমনি ভাবে হাত তুলে দাড়িয়ে বিশুর মুখে হাসি ফুটে উঠল। কলহই হোক বা কথাকাটাকাটিই হোক, এই হল তাদের সন্ধিস্থাপনের বহুকালের পুরানো রীতি। মৃগনয়ন হিস করা মাত্র দুজনে একসঙ্গে ছুটে গিয়ে পরস্পরকে বাহুবন্ধনে জড়িয়ে ফেলল। একটি চুম্বনও এই রীতির অন্তর্গত। কোন রকমে সেটা শেষ করেই মৃগনয়ন বিছানায় বসে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে নিতে ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বলল, “তুমি একটা অসভ্য, গুণ্ডা, বিশু।” শুনে বিশু একেবারে নিভে গিয়ে বলল, “কেন ? আমি কি করেছি ?” “কি করেছ, তাও বলে দিতে হবে। তুমি এখনও পুরুষ মানুষ হওনি। বিণ্ড । কত জোরে ধাক্কা দিয়েছ জানো । কি রকম লেগেছে জানো ?” 8 R O