পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शांबिक १jहांदकी উপযোগী ব্যক্তিগত সস্তা ভুল ভাষায় লেখা বলে স্পষ্ট পরিষ্কার মানেতে আগাগোড়া ঠাসা । সবাই কি ভাবছে আর তার কি হবে ভেবে নলিনীর কান্না পাচ্ছে । বাঙ্গাতলায় পড়ে থেকে মরে গেলেই তার ভালো ছিল । নলিনী আর বাচতে চায় না, কিন্তু বেশ আছে সে দিনরাত খাটতে খাটতে মরে যাওয়ার মতো কাজের মধ্যে, তবে কিনা বুক ফেটে যায় মানুষের দুর্দশা দেখলে। নলিনীর দাদা তাকে বলত যে ভিক্ষে করা আর ভিক্ষে দেওয়া দুটােই সমান পাপ। কারো কাছে ভিক্ষে নেবে না বলেই তো সে চলে গেছে, ভিক্ষে নেবেও না, ভিক্ষে দেবেও না। তবে ভিক্ষে দেওয়ার কাজ যে সে করছে সেটা ভিন্ন । নিজে তো আর সে ভিক্ষে gिघ्छ না, সে শুধু কাজ করছে। কাজ তো তাকে করতে হবে, তাই সে কাজ করছে কি কাজ করতে হচ্ছে তা সে ভাবতে যাবে কেন ? মানে, নলিনী শুধু কাজটাই করছে, আর কিছু নয়। যাদের সে খেতে দিচ্ছে ইচ্ছে করে দিচ্ছে না। ক্ষমতা থাকলে সে কিছুতেই দিত মা । সবাই মরলেও দিত না । দাদার কথা নলিনী পালন করছে। চিঠি পড়ে বোঝা যায় এই কথাটা বুঝিয়ে লিখতে নলিনী বেশ ফাপরে পড়েছিল । দুলাইনেই তার বক্তব্য স্পষ্ট হয়েছে, কিন্তু সেটা তার বোধগম্য হয়নি, সম্ভব বলে ভাবতেও পারেনি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানাভাবে লিখেও তার মনে সন্দেহ রয়ে গেছে যে মনের আদর্শ মনে রেখে কাজের জন্য কাজ করার নীতি-কথাটা সে বুঝিয়ে বলতে পেরেছে কিনা এবং ভূপতির মেয়ে বুঝবে কিনা। চিঠি পড়ে মাধব বা ভূপতি কেউ কোনো মন্তব্য করল না। শ্যামল টেনে টেনে বলল, “ফজিল মেয়ে । যেমন ভাই তার তেমনি বোন। ভতি হতে চায়নি। আমাদের এই স্কুলে ? এ যেন মেয়ে স্কুল, ধেড়ে মেয়ে নিলেই হল। বলে কিনা মেয়েদের একটা সেকসান করুন। ওর হুকুমে মেয়েদের সেকসান খোলা হবে । ছেলেদের স্কুলেই ছেলে হচ্ছে না।-” “আমার চিঠি দিন৷” ভূপতির মেয়ে ফোস করে উঠে শ্যামলের হাত থেকে চিঠিটা ছিনিয়ে নিল ।—“আপনি তো যেচে পড়াতে চেয়েছিলেন। ওকে। রোজ গিয়ে পড়িয়ে আসবেন বলেছিলেন।” ভূপতি শ্যামলের হয়ে অপরাধীর মতো বললেন, ‘লেখাপড়া শেখার খুব ঝোক আছে মেয়েটার। বড় উত্যক্ত করে তুলেছিল। শেষে কি আর করি, আমার মেয়ের সুড়ঙ্গ মাঝে মাঝে পড়াতাম।” ভূপতি একটা নিশ্বাস ফেললেন, “আর 3NYP سمي