পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী পাঁচটা লম্বা দাগ একে দিয়েছিল। দাগগুলি থেকে রক্ত চুইয়ে পড়ার আগেই দীনু বাগদী গিয়েছিল পালিয়ে। আরেকদিন বিলামসন সপরিবারে নদীর ধারে বেড়াতে আর পাখী শিকার করতে গেছে বিকালের দিকে। পাচু গোয়ালার ছেলে মধু মাঠের গরু নিয়ে ফিরছে বাড়ি! কালি নামে পাচুর একটি গরু ছিল একটু বেশি রকম চপল, মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার সময় তার ঢং যেত বেড়ে। এদিকে যেত, ওদিকে যেত, থমকে দাড়িয়ে মাথা নিচু করে রুখে দাড়াত, হঠাৎ শিং নেড়ে চার পা তুলে ছুটি দিত দিগ বিদিগ জ্ঞান হারিয়ে। তবে গু তোনোর স্বভাব তার ছিল না,\ দুবছর বয়সের মধ্যে একটি মানুষকেও সে গুতোয় নি। শিং নেড়ে যেদিক লক্ষ্য করে সে ছুটছিল তাতে বিলামসনদের হাত দশেক তফাৎ দিয়েই সে বেরিয়ে যেত । কিন্তু মিসেস বিলামসন আব্ব অরেল্যে ভয় পেয়ে এত জোরে আর্তনাদ করে উঠল। যে বিলামসন ও আর্থার দুনলা দুটি বন্দুকের চারটি টোটার ছবুবাগুলি কালির গায়ে ঢুকিয়ে দিল। মধু হাউমাউ কবে ছুটে এলে এমন বিপজ্জনক হিংস্ৰ জন্তুকে দড়ি ছাড়া ছেড়ে দেওয়ার জন্য হাতের বন্দুক দিয়ে বিলামসন কয়েক ঘ এবং আর্থার কয়েক ঘা মারল। আর এমনি ক্ষীণজীবী যুবক ছিল মধু যে সেই কয়েকটা ঘায়েই সেইখানে সে পড়ে গিয়ে হয়ে গেল অজ্ঞান ! ত্ৰিলোচন তরফদারের ছেলে ধূর্জটিকে বিলামসন এক দিন খালি হাতেই মেরে বসেছিল। ধূর্জটি সহরে কলেজে পডে, সিগারেট খায়। নদীর ধারে বাধানে। নালায় বসে বিলামসন-পরিবার আশ্বিনের স্নিগ্ধ বাতাস উপভোগ করছে, বলা নেই ক ওয়া নেই একহাত তফাতে বসে পড়ে ধূর্জটি ফুস ফুস সিগারেট টানতে লাগল, ধোয় উড়ে আসতে লাগল মিসেস এবং মিস বিলামসনের মুখে। আর্থার টনছিল সিগার, বিলামসন টনছিল পাইপ । ছেলের হাত থেকে সিগারটা টেনে নিয়ে । বিলামসন তার জলন্ত প্ৰান্তটি চেপে ধরেছিল ধূর্জটির গলায়। এই ইঙ্গিতটুকুই যথেষ্ট হবে ভেবেছিল বিলামসন, হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কলেজে বিদেশী শিক্ষার কুফল প্ৰমাণ করতে ধূর্জটি বিনা দ্বিধায় সজোরে বিলামসনের 2ाcव्ल ५qकÈा 5एछ दलिgश लि ! বাপ ব্যাটায় তখন চার হাতে ধূর্জটিকে মারতে লাগল। কিন্তু একালের বাবু ছেলে শুধু বেয়াদব হওয়া নয় গায়েও যেন তারা কি ভয়ানক জোর বাগিয়ে 3 ԳN9