পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাস গিয়েছিলেন। বৈষ্ণব যুগে বিষ্ণুর জন্য নির্মিত মন্দিরটি সেই থেকে সিন্দুর ঢাকা L Vruru, কুণ্ডেশ্বরী দখল করে আছেন। এ সময় মন্দিরের সিড়িতে বসে প্রতিদিন শ্ৰীমন্ত সহায় গায়ের লোককে আশ্চৰ্য সব কথা শোনায়। মানুষের আগের কথা, মাঝের কথা, আজের কথা, জমির কথা, চাষীর কথা, কলের কথা, কুলির কথা, টাকা এবং গরীব ও বড়লোকের কথা। কখনো অনর্গল বলে, বোঝা যায় না। কখনো উদাস কণ্ঠে, কখনো মৃদু মৃদু রহস্যের সুরে বলে—কিছু বোঝা যায়, কিছু বোঝা যায় না, শ্রোতাদের মনে গভীর অস্বস্তি জাগে । কখনো একেবারে তাদের ভাষায় সে বলে, তারা বুঝে শুনে থ’ বনে যায়। সমাজ সংসার সব মিছে ? ভাঙ্গতে হবে, গড়তে হবে ? টাকার খেলা ফঙ্কিকার, লুটলে অনেক থাকে, নইলে থাকে না ? বড়লোকের মুখস্বাচ্ছন্দ্য ভগবানের শাস্ত্রে বে-আইনী—সুখস্বাচ্ছন্দ্যের অধিকার তাদের যারা গরীব ? বলতে বলতে হঠাৎ থেমে গিয়ে শ্ৰীমন্তসহায় বলে, “উহু, তোমাদের এ সব বলা তো উচিত হচ্ছে না ! গা ছেড়ে বাইরে যাওয়া বারণ, ঘর থেকে বেরুতে পাব না শেষে । রামাবতার আবার সব শুনলে ।” থানার রামাবতার সোৎসাহে বলে, “ঠিক বাত হয়। গরীবকা লোহু পিনেসে ধনী বনত, নেহি তো নেহি বনত । জওহরলালজী তো—” • “একটা গান শোন রামাবতার।” বলেই শ্ৰীমন্তসহায় গলা ছেড়ে হিন্দী গান ধরে দেয় । আধা ঘণ্টা পরেই হয়তো দেখা যায় শ্ৰীমন্তসহায় ডাক্তারখানায় বসে ওষুধপত্রের হিসাব দেখছে, ভিজিটের টাকার বখরা নিয়ে মৃদু কোমল সুরে দণ্ডধারী মামার সঙ্গে কলহ করছে, আর নয় তো পরিদর্শন করছে তার যে কাঠ চালান যাবে তার ব্যবস্থা। ওষুধের দোকানের আসল মালিক শ্ৰীমন্তসহায়, দণ্ডধারীর পশার ও দাড়িয়েছে তারই জন্য। গোড়াতেই একটা বাখরার ব্যবস্থা স্থির হয়েছিল। খুব সহজ ব্যবস্থা-দোকানের লাভ আর ডাক্তারির আয় যত হবে সেটা দুজনের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে আধাআধি। যতদিন এই উপার্জনে দুই ছেলে তিন মেয়ে এবং বেী আর শালীকে নিয়ে তার প্রকাণ্ড সংসারের খরচ না চলে, শ্ৰীমন্তসহায় কিছু কিছু সাহায্য করবে। আয়ের ভাগ ছাড়বে না এক পয়সা, কিন্তু সাহায্য করবে। डiciद्ध भि ९५१ पिड श्लe नांश्iशा कद्भद । কারণ, ব্যবসাতে কে কার ভায়ে, কে কার মামা ! মামা হয়ে খেতে পােচ্ছ না, 8bምዓ