পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাস ‘বাস নিয়ে যাবে না কেন হে? অ্যাব্দর এসে এখানে বাসটা ফেলে রাখা “আজ্ঞে তেল নেই এক ফোটা ।” এখানকার কেউ তো জানতই না বাস কেন খড়পায় এসে আটকে গেল, যাত্রীরাও অনেকেই ভালো করে জানত না । সকলে ভিড় করে দাড়িয়ে কারণটা ঈশ্বরের মুখে শুনল। সেন সাহেবের তেল কম পড়ায় দু গ্যালন তেল ধারা চেয়েছিলেন। সেন সাহেবের ড্রাইভার বাসের তেল পাম্প করে সাহেবের গাড়ি চালান দিতে লাগল, সেন সাহেব দাড়িয়ে রইলেন সামনে । “সব নিয়ে না। হে !” সেন সাহেব বল্লেন । 'না, হুজুর। বহুত তেল হ্যায়।” বল্পে তার ড্রাইভার। গাড়ির ইঞ্জিন তখন মেরামত হচ্ছে। ঈশ্বর কিন্তু ঠায় দাড়িয়েছিল তেল চালানের কাছে। পাম্পে যখন আর তেল ওঠে না, তখন দু গ্যালন তেল ধার Qଗ ଏ38] C୩ଷ୍ ୧ଳୀ । “তুমি কিছু বললে না। সাহেবকে ? বললেই তিনি সদর পর্যন্ত পৌছবার তেল নিশ্চয় ফেরত দিতেন । বাসভর এতগুলো লোক —” ঈশ্বর মাথাটা কাত করে প্রায় ঘাড়ে ঠেকিয়ে সায় দিল, “বল্লে দিত। একবার ভেবেছিলাম বলি। বাবুর কথা ভেবে সামলে গেলাম। দোষ আমারই কি না। আলগা টিনে তিন চার গ্যালন তেল মোদের রাখতে হয়। একটা টিনে খানিকটা তেল মোটে ছিল। বাবুকে বলতে হবে, টিনের তেলও সাহেব লিয়েছেন।” একজন বলল, “সাহেব যদি না বলে ?” ঈশ্বর অবাক হয়ে বক্তার নিরীহ গোবেচারী মুখখানার দিকে খানিক চেয়ে বলল, “সাহেব না বলবে ! কে জিজ্ঞেস করতে যাবে সাহেবকে ? এ কি আদালত পেয়েছে না কি ? বাবু যখন বিশ বস্তার জায়গায় দুশো বস্তা চাল গায়েব করবে, সাহেব কি তখন শুধোতে যাবে, না কাউকে শুধোতে দেবে ? শ্ৰীধন আগাগোড়া ঠোঁট কামড়ে বিরক্তি জানিয়ে ইসারা করছিল, ঈশ্বর থামল না দেখে এবার রুক্ষ স্বরে বলল, “এসব কথা যে ফাঁকা করে বেড়ােচ্ছ ঈশ্বর-> ‘বাবুর হুকুম আছে।” “dé ?” 'আরে বাবা, সোজা বোঝে না কেউ ? সেন সাহেব বড় ঠ্যাটা। বাবু ওকে जब्रांड 5न् ।' 8SS