পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(3 37 শ্ৰীমন্ত সহায় একটা চেয়ারে উঠে দাড়াল। ‘মশায়রা, দয়া করে আমার দুটাে কথা শুনুন। আমার কিছু বলার হুকুম নেই। মুখ একদম সিল করা। তবে কিনা। এ অবস্থায় দুটাে কথা না বলে কি থাকতে পারি ? মোদের গায়ে এসে আপনার আটক পড়েছেন। অতিথি হয়ে পড়েছেন আমাদের। তা আগের দিনের মতো অতিথি সৎকারের সাধ্য গায়ের নেই, আপনার সব জানেন। গা থেকে দুটি খিচুড়ি রোধে দিলে কি গ্ৰহণ করবেন ? ঘরে ঘরে ভাগ হয়ে তারপর রাতটা আপনারা একটু কষ্ট করে কাটিয়ে দেবেন। আমার ঘর খালি—একদম খালি । কেউ নেই। আমার বাড়িতে। সাত भाप्लेछन्म আমার বাড়িতেই থাকতে পারবেন। ঈশ্বর ব্যঙ্গ করে শুধোলে, “আপনার গায়ে কত চালডাল আছে মশায় ?” চেয়ার থেকে নেমে শ্ৰীমন্তসহায় সোজা ঈশ্বরের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। ঘুষি মারার জন্য ডান হাতের মুষ্টি তার তৈরি হয়ে আছে। ঈশ্বরের ব্যঙ্গকে ভেংচি দিয়ে সে বলল, “তোমার তা দিয়ে দরকার কি মশায় ? ঈশ্বরও উঠে দাঁড়াল। মুষ্টি বাগিয়ে বলল, 'দরকার আছে বৈকি! তুমি তো গায়ের দশটা বাড়ির চাল ডাল নিয়ে এতগুলো BDBBBDS DBDmS BBDYS DD DBBBB DD DLDB D SYB DDBDB S আমি মুফতে চাল ডাল জোগাড় করে দেব। বুঝলে মশায় দরকারটা এতক্ষণে ? ‘কে দেবে মুফতে চাল ডাল ? ঈশ্বর ধনেশ সাহাকে সম্বোধন করে বলল, “সা-মশায় দরকার মতো চাল ডালটা আপনিই দেন। আজকের মতো ' ধনেশ কিছু বলার আগেই শ্ৰীমন্ত সহায় মাথা নেড়ে বলল, “না মশায়, খাতিরের চাল ডাল আমরা খাইনে। পরিবার এসবে বলে কিছু চাল রেখেছি। ঘরে, তা পরিবার এখন এসবে নি। আমার ঘরের চাল ডালেই ঢের হবে। খিচুড়ি হবে আর কুমড়ো ভাজা হবে। দেতো তোর কুমড়োটা গোবর্ধন—” গােবর্ধনের হাত অবশ হয়ে গিয়েছিল—পনের সেরি কুমড়োর ভার এতখানি সময়ে বড় সহজ দাঁড়ায় না। শ্ৰীমন্ত টানতেই কুমড়োটা মাটিতে পড়ে কয়েক খণ্ডে ভাগ হয়ে গেল । শ্ৰীমন্তসহায় যেন আরও উৎসাহিত হয়ে বলল, “বাপ, এ যে বিরাট কুমড়ে তোমার গোবধান ! যাক যাক ওটাতে কাটতেই হত। একটা ঝোড়ায় তুলে ঘরে (to o