পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांत्रिंक ७१jछ्वत्रौ টেবল ফ্যান কেনার সাধ পৰ্যন্ত বেচারার মেটে না । সেই বা কেমন মানুষ, ঘেমেচেমে আফিস থেকে ফিরলে দশমিনিট একটু হাওয়া পৰ্যন্ত করে না তাকে ! আজি রাত্রে পাখার বাতাস দিয়ে ওকে ঘুম পাড়িয়ে তবে সে ঘুমোবে। এক হাতে হাওয়া করবে, অন্য হাতে মাথার চুলে রসিক খেতে বসল ঘেরা বারান্দায়, রসিকের বৌকে বসানো হল ঘরে। বসিকের কাছে বসলেন পিসীমা, তার বৌয়ের ডাইনে বীয়ে গা ঘেষে বসিল মেনকার দুই ননদ । পরিবেশন করতে করতে মেনকা লক্ষ্য করল, এদিকে ওদিকে নড়েচড়ে বেড়াতে বেড়াতে গোপাল রসিকের বৌকে দেখছে, আগ্রহের সঙ্গে দেখছে। প্রথমে বসিকেব বেঁকে দেখে গোপাল যেন একটু আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল। আলাপ করতে গিয়ে লজ্জায় তাকে কাবু হয়ে পড়তে দেখে যেন একটু আহত হয়েছিল। সহজ একটা ঠাট্টায় তাকে ফিক করে হাসিয়ে কথা বলতে পারায় খুশির যেন তার সীমা ছিল না। লুচি ভাজতে ভাজতে এসব মেনকা লক্ষ্য করেছে। এখন দুজনের খাওয়া তদারকের ছুতোয় ক্ৰমাগত বারান্দা থেকে ঘরে গিয়ে চোখ বুলচ্ছে রসিকের বৌ-এর সর্বাঙ্গে। অন্য কারো চোখে পড়বার মতো কিছু নয়। অন্য কাবো সাধ্য নেই গোপালের চলাফেরা আর হাসিমুখে মানানসই কথা বলার মধ্যে অতিরিক্ত কিছু আবিষ্কার করে। মেনকার মতো চোখ তো ওদের কারো নেই। কিন্তু গোপাল এরকম করছে কেন ? রসিকের বৌ সুন্দরী বলে ? মেয়েটার রূপ আছে, একটু কড়া ধাচের রূপ। যে রূপ কাপড় জামায় বিশেষ চাপা পড়ে না, বরং আরও উগ্র, আরও অশ্লীল হয়ে দাড়ায়। রাস্তার লোক হঁা করে তাকিয়ে থাকে। বাড়ির মানুষ সশঙ্ক অবস্থায় দিন কাটায়। আর রূপের অহঙ্কারে রূপসীটির মাটিতে পা পড়ে না । গোপাল শান্ত, ভদ্র, মিষ্টি রূপ ভালোবাসে-মেনকার মতে রূপ। রসিকের বৌকে দেখে তার তো বিচলিত হবার কথা নয়। ঘরে গিয়ে একটু খোচা দিতে হবে। বুঝতে হবে ব্যাপারখানা কি। অতিথিদের খাওয়া শেষ হতেই তাদের শোয়ার সমস্যা নিয়ে পিসীমা, মেনকা আর গোপালের পরামর্শ হল । পিসী বললেন, “ভূপাল আর কানাই এক বিছানায় শোবে। ওর বৌকে অনুবিন্দুদের ঘরে দেওয়া যাক । একটা রাত তো ।” গোপাল বলল, 'না' না, তাই কি হয় ! নতুন বিয়ে হয়েছে, ওদের একটা ঘর দেয়া উচিত । ওরা আমার ঘরে থাকবে ।” ( Op