পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী আশ্রয় ছেড়ে, যুক্তি আর সঙ্গতির স্তর অতিক্রম করে, চিন্তা তার সোজাসুজি স্পষ্টভাবে গোপালকে চেয়ে বসে। পুরানো অভ্যন্ত মিলনের পুনরাবৃত্তি। তারপর মেনকা মরে যেতে রাজী আছে। “स्ञ0छ् ?' একসঙ্গে শীত আর গ্রীষ্ম অনুভব করে মেনকা শিউরে উঠল । জানালার শিকে মুখ ঠেকিয়ে গোপাল গলা আরেকটু চড়িয়ে বলল, ‘ঘুমিয়েছ। নাকি ? আমায় একটা অ্যাসপিরিন দিয়ে যাও।” i মেনকা সাড়া দেবার আগেই ঘরের এক প্ৰান্ত থেকে পিসীমা दनन, ‘কে রে, গোপাল ? শরীর খারাপ লাগছে নাকি ?” ‘না গরমে মাথা ধরেছে। অ্যাসপিরিন খাব । তুমি উঠে না। উঠে না। কিন্তু পিসিমা । তোমার উঠে কােজ নেই।” মেনকা দরজা খুলে বেরিয়ে এল।” “অ্যাসপিরিন যে ঘরে রয়েছে ? “তবে অ্যাসপিরিন থাক। ছাতে গিয়ে একটু শুই। ভূপালদের ঘরটাবড় গরম।” “খোলা ছাতে শোবে ! অসুখ করে যদি ? “কিছু হবে না। একটা পাটি বিছিয়ে দাও।” ঘর থেকে মেনকা পাটি আর বালিশ নিয়ে এল-একটি বালিশ ৷ বারান্দা পার হয়ে ছাতের সিড়ির দিকে যাবার সময় তাদের ঘরের সামনের সাসির জানালার কাছে তাকে দাঁড় করিয়ে গোপাল চুপিচুপি বলল, “দেখেছ? এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে! সাসি অন্ধকার। রসিকের নাক ডাকার শব্দ বাইরে শোনা যাচ্ছে। মেনকা বলল, ‘ঘুমোবে না? রাত কি কম হয়েছে!’ ছাতে পাটি বিছিয়ে মেনকা বালিশ ঠিক করে দিল । গোলাপ শুধালো, “তোমার বালিশ আনলে না ?” “আমিও শোব নাকি এখানে ?” গোপাল হাত ধরতেই সে পাটিতে বসে পড়ল।—“সবাই কি ভাববে!’ গোপাল জড়িয়ে ধরতে কিছুক্ষণ তার শ্বাস বন্ধ হয়ে রইল।-“আর সিড়ি ভাঙতে পারি না। একটা বালিশেই হবে’খন।’ A. তেতালা বাড়ির কোণের সেই ঘরের জনালাটা আলিসার উপর দিয়ে দেখা যাচ্ছিল। এখনো সে ঘরে আলো জলছে। So