পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tဓုကျိချွံ সবাই একত্র বসবে, পাশাপাশি বসে খাবে।-ভদ্রলোক, মজুর, চাষী সবাই! ওঃ, আমার ধৈৰ্য্য ধরছে না কেষ্টদা ! কালকেই তুমি চিঠি লেখো ।” মমতার এ পাগলামিতে কৃষ্ণেন্দু সায় দেয় নি, রামপালের সঙ্গে কথা বলে বীরেশ্বরকে চিঠি লিখেছিল। বীরেশ্বর কলকাতা এসে বিয়ের প্রস্তাব পাকাপাকি করে গেল। কিন্তু মমতার মতলব মানতে সে কিছুতেই রাজী হল না। বিয়ে যদি হয়, বিয়ে হবে ঝুমুরিয়ায়, বীরেশ্বরের নিজের বাড়ীতে। কলকাতায় এসে পরের বাড়ীতে সে মেয়ের বিয়ে দেবে না । মমতা দমে গিয়েছিল। কৃষ্ণেন্দুকে জিজ্ঞেস করছিল, “ও কেন আপত্তি করল কেষ্টদা ? ওর তো লাভ হত, সবদিক দিয়ে, সব খরচ, আমি দিতাম।” কৃষ্ণেন্দু জবাব দিয়েছিল, ‘সবাই তো লাভ চায় না। মমতা। ওকে তুমি চেনো না । তোমার প্রস্তাব শুনে অপমান বোধ করে যে রেগে ওঠে নি। তাই অনেক ভাগ্যি বলে জেনে ৷” হীরেন ও মমতার বিয়ে হল আশ্বিনের গোড়ায়, পূজোর দিন সাতেক আগে। লোকনাথের বাড়ীতে খুব ধূমধামের সঙ্গে পূজো হয়, শিল্পচাতুৰ্য্যে অপরূপ দামী প্ৰতিমা আসে । এবার বিয়ের সমারোহ শেষ হতে না হতে পুজোর সমারোহ আরম্ভ হওয়ায় আনন্দ-ক্লান্ত উৎসব-শ্রান্ত বাড়ী বোঝাই মানুষগুলির কাছে বিজয়া যেন মুক্তির স্বস্তি নিয়ে এল। লোকনাথের কারখানাগুলির সমস্ত লোকেরা এবং মমতার নিজে গিয়ে নিমন্ত্রণ করে আসা মজুর ও ধাঙ্গড়রা সবশুদ্ধ তিনদিন পাত পেতে গেল। রামপাল ও রম্ভার বিয়ে হল আশ্বিনের শেষ দিকে, পূজোর পর। কৃষ্ণেন্দু, মমতা, হীরেন, আরিফ ও দীনেশ নামে কুড়ি একুশ বছরের একটি উৎসাহী ছেলে এই পাঁচজন ভদ্রলোক বর রামপাল ও তার মজুর মিস্ত্রী সঙ্গীদের সাথে বরযাত্রী এল ঝুমুরিয়ায়। छूछे স্বামীর ঘর করতে এসেই রম্ভ টের পায়, সে এক নতুন জগতে এসে পড়েছে, ঝুমুরিয়ায় তার এত দিনের পরিচিত জগতের সঙ্গে যার মিল বড়ই কম। স্থানের সঙ্কাৰ্ণিতা আর আলো বাতাসের অভাবটাই প্ৰথমে যেন তাম দম আটকে দিতে চায়। দিনের বেলাতেও ছায়ান্ধকার এতটুকু সেঁতসেঁতে (c.