পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांत्रिक (aiहादकी রমেনকে দেখেই সকলের মনে যে একটা দুর্বোধ্য অস্পষ্ট আশঙ্কা জেগেছিল, দেখা গেল সেটা একেবারেই অমূলক নয়। ছেলেটাকে আয়ত্ত করা একরকম অসম্ভব। তাকে স্নেহ করার, খাতির করার, খুশি করার আঘাত দেওয়ার কোন প্ৰচলিত পদ্ধতি কারো জানা নেই। নিজে থেকে কাউকে সে এড়িয়ে চলে না, কারে সঙ্গে বেশী খাতির জমানোর চেষ্টা করে না, একজনকে ছোট করে আরেকজনকে বড় করার এতটুকু উৎসাহও তার নেই। বেশী বেশী আব্দর যত্ন স্নেহ মমতা দিয়ে তাকে বশ করা যেমন অসম্ভব, অবজ্ঞা করে নিষ্ঠুরতা দেখিয়ে তাকে কাবু করাও তেমনি অসম্ভব। মমতা আর অবহেলার দাম তার কাছে যেন সমান। কয়েকদিনের মধ্যে তার ব্যাপার দেখে অনুপমা আর মনোরমার দু’জনেরি ধাঁধা লেগে গেল। প্ৰাণপণ চেষ্টা করেও তাদের দু'জনের মধ্যে কেউ রমেনের এতটুকু পক্ষপাতিত্ব অজন করতে পারলেন না । কিশোর সন্ন্যাসীর মত সে যে একেবারে নির্বিকার হয়ে থাকে তা নয়, ভালবাসা দেখালে শিশুর মত খুশী হয়ে উঠে, কিন্তু গলে পড়ে না । ভালবাসা দেখানোর আগে যেমনটি ছিল পরেও তেমনি থাকে। (लछ9 बांgg =, oों'७ bां भी ! প্ৰথমদিন অনুপমা ভেবেছিলেন, মনোরম আগেই ভাব আরম্ভ করেছে তার সঙ্গে তিনি বোধ হয় পাল্লা দিতে পারবেন না। বিকেলে মিষ্টি আনিয়ে লুচি ভেজে রমেনকে খেতে দিলেন। অন্য সকলেই অবশ্য লুচি আর মিষ্টি খেল, কিন্তু তার মিষ্টি কথাগুলি পেল শুধু রমেন। পুলকিত হয়ে অনুপমা লক্ষ্য করলেন, এ বাড়ীতে তাকেই যেন সে আপন মনে করে, তার স্নেহ আর যত্বই সে যেন চায়, এমনি ভাব রমেনের। নতুন পরিচয়ের সঙ্কোচ নেই, পর মনে করা নেই। কি আগ্রহের সঙ্গেই রমেন জিজ্ঞেস করল, “আপনার সেই প্ৰাইজগুলি আছে পিসীমা ? দেখাবেন। अiभांश ?' ነ কবে সেই অল্প বয়সে সেলায়ের কাজ আর গানের জন্য অনেকগুলি প্ৰাইজ পেয়েছিলেন, বাপের কাছে শুনে সেগুলি দেখবার জন্য রমেন উৎসুক হয়ে আছে। মনটা অনুপমার কেমন করে উঠল। কই, দশবিশ বছরের মধ্যে কেউ তো কোনদিন জানিবার আগ্রহ দেখায়নি তার এককালে বিশেষ কি গুণ ছিল, কিসের জন্য বাড়ীতে আর পাড়াতে এককালে তিনি সকলের মুখে নিজের প্রশংসা শুনতেন ! আজি আড়ালে লোকে তাকে শুটকি মাছ বলে, তার মাথায় নাকি ছিট আছে, সাদা চোখে তাকালে ছেলেপিলে ভস্ম হয়ে যেতে পারে বলে তিনি নাকি চশমা। RVSN