পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# ဂျီရ၊ ছিল না, তাদের দু’জনের জীবন তো এভাবে ভরাট হয়ে উঠবার সুযোগ পায় নি। অবর্ণনীয় রসে, আনন্দে, উপভোগে ? তবে কেন সে বিশ্ব-সংসার ভুলে যেতে পারে না। রামপালের মত ? সে কি স্বার্থপর ? মনটা কি তার ছোট ? একসঙ্গে সব কি সে চায় নিজের জন্য-বিয়ের আগে যা ছিল তাও থাকবে, বিয়ের পরে যা পেয়েছে তাও থাকবে ? “তুমি বড় কঠিন বৌ।” রামপাল সখেদে নালিশ জানায়। 'cकन 65ों ? "এত করে মন পাই না ।” “যাঃ, মন তো নিয়ে নিয়েছে সেই কবে ।’ ত্রুটি হচ্ছে ? অন্যায় করছে ? যতটা সাড়া দেওয়া উচিত ছিল দিতে পারছে না, যতটা খাপ খাইয়ে নেওয়া উচিত ছিল নিতে পারছে না ? অথবা বাপের বাড়ী গোকে স্বামীর ঘরে এলে প্ৰথমটা এরকম হয় মেয়েদের ? মানিয়ে নেবার জন্য খাপ খাইয়ে নেবার জন্য রম্ভ উঠে পডে লেগে যায়। রামপালকে আরও বেশী করে জানিবার বুঝবার চেষ্টা করে, বাড়ীর মানুষগুলির সঙ্গে মিতালি জমায়। বাড়ীর ধাঁচটা অদ্ভুত—গলি থেকে লম্বা হয়ে এসে চ্যাটালো গোলাকার হয়ে গেছে। লম্ব অংশে দু’হাত চওড়া উঠান, চব্বিশ ঘণ্টা ভিজে থাকে। দুপাশে আধ্য হাত উঁচু আর দেড় হাত চওড়া দাওয়া এবং দু’খানি করে ঘর। ভিতরের দিকে চ্যাপ্টাকোণ ত্রিভুজের মত প্ৰায় গোলাকার কিছু বড় উঠান ঘিরে আরও কতগুলি ঘর আছে। একখানা করে নিয়েই অধিকাংশ ভাড়াটে বসবাস করে, কেবল পরেশ আর গোপালের ঘর দু’খানা করে। গোপালের রোজগার একটু ভাল এবং সংসারটিও বড়। একটি ছোটখাট चिद्ध cांकन তার আছে। এবাড়ীতে পারেশের সঙ্গেই রামপালের ভাব বেশী। ৭ পরেশের স্ত্রী দুৰ্গা এতকাল রামপালকে রোধে খাইয়েছে স্বামী আর দেওরদের সঙ্গে, রামপাল খরচ দিয়ে এসেছে মাসে মাসে । রম্ভা আসবার পরে দ্বিতীয় মাসেও এই ব্যবস্থা বজায় আছে, যদিও রম্ভার ভিন্ন সংসার পাতার কথাটা কয়েকবার উঠেছে ভাসাভাসা ভাবে । দেশে রামপালের বাপ মা ভাইবোন কেউ না থাকলেও আত্মীয়স্বজন ছিল, বিয়েতে কিন্তু সে তাদের কাউকে ডাকে নি। দুর্গাই রম্ভাকে বরণ করে ঘরে তুলেছে, আচার নিয়ম A