পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मन्मिक @इदितौँ নন্দ-অক্ষয়ের কম্পাউণ্ডার। অক্ষয়ের কম্পাউণ্ডার আছে দু’জন। তিন বছর মেডিকেল কলেজে পড়িয়াছিল বলিয়া তাহদের মধ্যে নন্দর মানও বেশী, মাহিনাও বেশী । সে অক্ষয়ের বাড়ীতেই থাকে ও খায়। কোন প্রয়োজন না থাকিলেও ভোর পাঁচটায় উঠিয়া ডিসপেনসারীতে যাইবার জন্য প্ৰস্তুত হয়। ঘরের ভিতর তখন আলো-অন্ধকারের মেশামেশি। খাবার ও খাবার জল পৌছাইয়া দিতে ঘরে ঢুকিতে গিয়া সুমতির গা ছম ছম করে। সকলের ঘুমের আড়ালে এই কর্তব্য পালনে কেমন 'যেন গোপন অভিসারের আমেজ আছে, অনুভূতির মধ্যে সেটুকু ধরা পড়া কোন মতে নিবারণ করা যায় না । নন্দর যত কাব্যও কি এই ভোরকে নিয়াই । ‘কাল ঘুম আসতে একটা বেজে গিয়েছিল, সুমতি। তবু এত ভোরে উঠলাম। হয়ত আজ এখন দোকানে যাব না। তুমি চলে গেলে আবার ঘুমিয়ে পড়ব৷”— বলিয়া নন্দ হাসে । সুমতি রাগ করিয়া বলে, “আজ থেকে রাত্রেই আপনার ঘরে খাবার রেখে যাব। ভোরে ওঠার কষ্ট পেয়ে কাজ নেই।” নন্দ তথাপি হাসে- তাতে আমার ঘরে রাত-অতিথি ইন্দুরগুলিরই উপকার হবে। আর কিছু হবে না। আমি ক্ষুধার্ত হয়েই দোকানে যাব।” ‘তাতে আমার ক্ষতিটা কি ?” কথাটা বলিয়াই নিজের বোকামিতে সুমতির মন অনুশোচনায় ভরিয়া যায়। সবটুকু রাগ নিজের উপরে গিয়াই পড়ে। ফাজলামি করিবার এমন সুযোগ অবহেলা করিবে নন্দর কি সে উদারতা আছে ? কথাটা বলা তাহার কোন মতেই উচিত হয় নাই। নন্দর সত্যই উদারতা নাই, সকৌতুকে হাসিয়া সে জবাব দেয়, ‘সত্যি কোন ক্ষতি নেই? তবু যদি শেষরাত্রে উঠলেও খাবার হাতে হাজির না হতে ‘’ “আমি রোজ এমনি সময় উঠে।” ‘ওঠই তো ! কে তা অস্বীকার করছে ? কেন ওঠ তাই নিয়ে প্রশ্ন।” কথায় নন্দর সঙ্গে পারিবার যো নাই। সুমতি মুখ গোজ করিয়া বাহির হইয়া আসে। দুপুরে নন্দ খাইতে আসিলে সামনে বসিয়া খাওয়ায় না। রাত্রে এক R