মানিক গ্রন্থাবলী পালন করেছে, আব্দর যত্ন দেখিয়েছে, নতুন বৌয়ের জন্য শাশুড়ী ননদের যা কিছু করার থাকে সব সে করেছে একা । বয়স তার বেশী নয়, দুটি ছেলের মধ্যে বড়টির বয়েস হবে বছর তিনেক, ছোটটি এখনো মাই টানে, কিন্তু ক’বছর এক সংসার চালিয়ে তার রকম-সকম হয়েছে। পাকা গিন্নীর মত । রাস্তাকে ভালবেসে দরদ করতে শিখলেও তার সখি সে হয়ে উঠতে পারে নি, তার ব্যবহারে একটু গুরুজন গুরুজন ভাব রয়ে গেছে | পরেশের দু’ভায়ের নাম সুরেশ আর নরেশ। সুরেশ একটু গম্ভীর রািগ্নচটা ধরণের যুবক, সুবালা নামে তার চেয়ে চার-পাঁচ বছর বয়সে বড় পাড়ার একটি হাফ-গেরস্ত মেয়ের সঙ্গে প্ৰকাশ্যে ভাব জমিয়ে দিন কাটাচ্ছে । লোকনাথের কাঠের কারখানাতে সেও মিস্ত্রীর কাজ করে । রোজগারের অৰ্দ্ধেক এনে দেয় দাদার হাতে, বাকী অৰ্দ্ধেক সম্ভবতঃ খরচ করে সুবালার পিছনে। ভাল একটি মেয়ে দেখে তার বিয়ে দেবার জন্য পরেশ ও দুর্গার চেষ্টার বিরাম নেই দু’বছর ধরে, কিন্তু সুরেশ নির্বিবকার। অথচ আশ্চৰ্য্য ५gदे, সুবালার প্ৰেমে হাবুডুবু DDLD SBD DBDBDLq SLDD D BBB S রাতগুলি বেশীর ভাগ তার বাড়ীতেই কাটে। মাঝে মাঝে শুধু দেখা যায়, রাতে সে বাড়ী ফেরেনি, কিশোর নরেশ দুয়ার না দিয়েই এক ঘরে ঘুমিয়ে झाऊ काgिझाgछ । নরেশ ছেলেটা বড় চঞ্চল, চালাক আর অবাধ্য। এই বয়সে ছেলেটা যে কি করে এমনভাবে পেকে গিয়েছে রম্ভ ভেবে পায় না । আরও সে ভেবে পায় না কি করে এর সঙ্গে এত সহজে তার এমন ভাব হয়ে গেল যে শাসন করার বদলে ছোড়াটার পাকামিকে প্রশ্রয় দিতে তার ভাল লাগছে । এখানে আসবার পরদিন বিশেষ দরকারে রামপাল বেলা তিনটের সময় অনিচ্ছার সঙ্গে বেরিয়ে গেছে, খালি ঘরে রম্ভ তাকিয়ে আছে মাটি লেপ দেয়ালে বসানো একরাত্তি জানাল দিয়ে গলির ওপারের দুটি বাড়ীর ফাকে খানিক তফাতের খালের অংশটুকুর দিকে। বিড়ির গন্ধে উদভ্ৰান্ত হয়ে ভাবল, একটু সময়ের জন্যও তবে কি রামপাল তাকে ছেড়ে যেতে পারল না, ফিরে.এল বেরিয়ে গিয়ে । তারপর রম্ভ চেয়ে দ্যাখে কি পাশ থেকে রোগ একটি হাত এগিয়ে এসে তার হাতের মুঠোয় ওঁজে দিচ্ছে ছোট একটি কৌটো ! (ኔb”