পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७भिलबांईन পর্যন্ত সুনীতি তাকে বোকা পাইয়া আদায় করিয়া লইয়াছিল। সুনীতিকে একটা । ভাল রকম শাস্তি দিলে বড় ভাল হইত,—মনুষ্যত্বের পরিচয় দেওয়া হইত। স্ত্রীর সঙ্গে এই তুচ্ছ কথোপকথনটি তার সকালবেলার। কাল হাসি সোডা দিয়া চুল সাফ করিয়াছিল, আজ তেল দিয়া স্নান করিবে। তার রুক্ষ ফাপানো চুলে একফোটা তেলের চিহ্নও নাই। তবু এই অসময়ে কোথা হইতে যে প্রমথ ভ্ৰাণ পাইতে লাগিল কেশতৈলের ! সেই চির পরিচিত ওমিলনাইনের গন্ধ ! হাসি হাসি বন্ধ করিয়া ব্যগ্ৰকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, কি হল ? কি হল তোমার श्र्छा९ ? প্রমথ বলিল, তোমার তেলের শিশিটা নিয়ে এসে তো চট করে! কেন ? আগে আনো, বলছি । হাসি তেলের শিশি আনিয়া দিল । দেশী তেল। গন্ধটা চড়া। ছিপি খুলিয়া শিশিট নাকের সামনে ধরিয়া প্রমথ জোরে জোরে শ্বাস টানিতে লাগিল, হাসি অবাক হইয়া দেখিতে লাগিল তার বিবৰ্ণ কপোলে বিন্দু বিন্দু ঘর্মের আবির্ভাব। আগেও সে দু'একবার স্বামীর এরকম আকস্মিক ভাবান্তর লক্ষ্য করিয়াছে কিন্তু কোনবারই এত স্পষ্ট ও প্ৰবল ভাবে নয়। জিজ্ঞাসা করিতে প্রমথ ব্যাপারটা হাসিয়া উড়াইয়া দিয়াছে, মাথা নাড়িয়া বলিয়াছে, ও কিছু না । আজ প্রমথ শান্ত হইলে কারণ জানিবার জন্য হাসি পীড়াপীড়ি করিতে লাগিল । প্রমথ বলিল, হঠাৎ মাথাটা কেমন ঘুরে উঠল! মাথা ঘুরে উঠল বলে তেলের গন্ধ শুকবে কেন ? তেলের গন্ধ শুকলে আমার মাথাঘোরা সেরে যায় । কি বলছ পাগলের মত ? তাই কখনো হয় ? কি হয়েছে তুমি বলছি না। আমায় । ওই তো বললাম ! আবোল-তাবোল কতগুলি কৈফিয়তে তখনকার মত হাসিকে শান্ত করা যায় বটে। কিন্তু তার কৌতুহলের নিবৃত্তি হয় না। পরদিন সে আবার একথা তোলে। তারও পরের দিন। একবার প্রমথের মনে হয়। সুনীতির কথা সব সে শোনাইয়া দেয়। কিন্তু এতকাল পরেও সুনীতির মাথার চুলের কাল্পনিক ভ্ৰাণ নাকে লাগিয়া ¢ ዓ ፃ vo(t)