পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शाभेिक @छादवौ পাচুকে নীচে নামাইয়া দিয়া বিকাশ স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিল। মৃন্ময়ী প্রশ্ন করিল, “কি ভাবিছ শুনি ।” “ভাবছি পাচু কেন ভয় পেল। তোকে তো ও কতদিন অন্ধকার ছাতে ঘুরতে দেখেছে, আর আজ এমন জ্যোৎস্না । এও কি সুলতার দোষ রে ? মৃন্ময়ী শুল্কম্বরে বলিল “তা ছাড়া কি ? বিকাশ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল “চল মিনু, আমরা নীচে যাই।” “নীচে গিয়ে কি করব ? তোমার বৌ এর সেবা ?” 'করলে কি তোর পাপ হবে ? বড় নিলাজ তুই। বড় ছােট মনতোর।' এমন কঠিন কথা দাদার কাছে মৃন্ময়ী জীবনে আর শোনে নাই। সে কঁাদিয়া ८क्लेिब्ल । ‘বৌকে আমি হিংসা করি না। দাদা, তোমার গা ছুয়ে বলছি একটুও হিংসা করি না ।” বিকাশ তাহাকে শান্ত করিবার চেষ্টা পৰ্যন্ত করিল না, সংক্ষেপে শুধু বলিল “তা জানি। চল নীচে।” রাত নটায় সুলতা চ্যাচাইতে আরম্ভ করিয়া দিল, থামিল এগারোটার সময় ; একেবারে অজ্ঞান হইয়া । বিকাশ সািভয়ে বলিল ‘ওকি হ’ল ? মরে গেল নাকি ডাক্তার বাবু?' ডাক্তার বসিয়া বসিয়া বিমাইতেছিলেন, বলিলেন ‘যান মশাই, আপনি রাস্তায় ঘানি।” বিকাশ মিনতি করিয়া বলিল “আপনি আর একবার দেখে আসুন ডাক্তার বাবু। এমন আচমকা চুপ করে গেল, আমার ভাল বোধ হচ্ছে না।” ডাক্তার উঠিলেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফিরিয়া আসিয়া রিপোর্ট দিলেন অস্বাভাবিক কিছুই ঘটে নাই, সুলতা শুধু অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছে। ‘অজ্ঞান ৷” ডাক্তার বিরক্ত হইয়া বলিলেন “আচ্ছা পাগল তো আপনি ! আপনার জন্য দরকার মত উনি অজ্ঞানও হতে পারবেন না ? বিকাশ ছটফট করিতেছিল, এবার বসিল । কোলাহল সমারোহ নাই বলিয়া সন্ধ্যায় সে বিস্থিত হইয়াছিল, এখন আর ও বিষয়ে নালিশ করিবার কিছু নাই। সুলতা একাই সমারোহের সীমা রাখে নাই। সমস্ত বাড়ীটা অস্বাভাবিক স্তব্ধ হইয়া পড়িয়াছে। সুলতা হয়ত আর শব্দ করিবে না, এ স্তব্ধতা ভাঙ্গিবে একেবারে শঙ্খধ্বনিতে,-যদি ছেলে হয়। শাখ Gdbr