পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डigी पद्ध সে বোধ হয়। আমাকেই দেখছিল, এবার মহিলাটিকে উদ্দেশ করে বলল, “দেখেছ? হারামজাদি মেয়ের কাণ্ডখানা দেখেছ?' মহিলাটি মেঝের পাতা বিছানার কাছে এগিয়ে গেল নীরবেই। কিন্তু মেয়েটির গালে একটা চড় বসিয়ে দিল সশব্দে। চড়ের শব্দ না শুনলে আমি হয় তো ঝাপি থেকে চোখ নামাতাম না। আর্তনাদ করে জেগে উঠে মেয়েটি কঁদবার উপক্রম করছিল, মহিলাটির উদ্যত চড় দেখে কান্না বন্ধ করে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে রইল। দৃষ্টি দেখেই বোঝা যায় ঘুম তার তখনও ভাঙেনি, আরও বোঝা যায় যে মস্তিষ্কের যে অঞ্চলটিতে জীবনের সাড় ওঠে। সেখানটা তাব খুতি-ধরা । মহিলাটি পায়ের তলা থেকে শাড়ীখানা কুড়িয়ে এনে তাকে ঢেকে দিতে গেল। কিন্তু ততক্ষণে সচেতন হয়ে ওঠায় নিজেই সে কাপড়টিকে ছিনিয়ে চোখের পলকে নিজেকে ঢেকে ফেলল । 'মরণ হয় না তোর ?”—ঘোমটার ভেতর থেকে মহিলাটির তীব্র ধমক শুনতে পেলাম । আমি এদিকে ভিজা জামা কাপড়েই দাড়িয়ে আছি। আর জল ঝরে ঝরে পায়ের তলায় জমা হচ্ছে। এ কোন দেশী আতিথ্য ? আমাকেই কি বলতে হবে, ভিজা কাপড় ছাড়বার জন্য আমাকে একখানা কাপড় দেওয়া দরকার ? “এই বিষ্টির মধ্যে এতরাত্রে মশায় এদিকে—?” সিন্দুকের ওপর থেকে প্রশ্ন এল। আমি বললাম, “আপনাদের এখানে তো জায়গা হওয়া মুস্কিল, আশেপাশে কারও বাড়ী আছে বলতে পারেন ?” “আছে বৈকি, আমবাগানটার ওপাশে ঢের বাড়ী আছে।” আটহাতি কিন্তু পরিষ্কার একখানা কাপড় আমার দিকে এগিয়ে ধরে ঘোমটার ভেতর থেকে মহিলাটি বলল, “কাপড়টা ছেড়ে ফেলুন। বাড়ী খুঁজে •igदक अ ।' সিন্দুকের ওপর থেকে সায় এল, “তা বটে, বাড়ী এখন খুঁজে পাওয়া শক্ত বটে। কি বাদলাটাই নেমেছে, বাপ !” জামা কাপড় ছেড়ে দিতে মহিলাটি সেগুলি চিপে মেলে দিল,-মেলাবার স্থান যে ঘরে পাওয়া গেল তাই আশ্চৰ্য। আমি সিন্দুকে লোকটির পাশে উঠে বসলাম। মহিলাটি খাটে উঠে আমার দিকে পিছন ফিরে বসল, বোধ হয় কোলের শিশুটিকে भीछे रिङ । ܣܛܢ