পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধ ও ধাধা। মুহূর্ত কান পাতিয়া থাকিয় অধর হঠাৎ প্রশ্ন করিল, ঘরে কে-নিশ্বাস ফেলছে ? কে এসেছে আমার ঘরে ? সোজা হইয়া বসিবার চেষ্টার সঙ্গে আন্দাজে হেরম্বের দিকে তর্জনী উদ্যত করিয়া সে যেন অস্ফুট স্বরে আর্তনাদ করিয়া উঠিল, কে ও ? চোরের মত আমার ঘরে কে এল ? রাধার ঠোঁট কঁপিল। কিন্তু কথা বাহির হইল না। হেরম্ব নিজের পরিচয় দিতে যাইতেছিল, ইঙ্গিতে রাধা বারণ, করিল। অধরের মাথা ঠক ঠক্‌ করিয়া কঁাপিতেছিল, বিছানার চাদরটা দুই হাতের শীর্ণ আঙ্গলে মুঠা করিয়া ধরিয়া ভীতম্বরে অধর বলিল, ও যেই হোক, ওকে অত জোরে নিশ্বাস নিতে বারণ কর রাধা । না হয় তুমি কথা কও। রাধা মৃদুস্বরে বলিল, উনি আমাদের প্রতিবেশী। তোমায় দেখতে এসেছেন । অধরা যেন এই সংক্ষিপ্ত জবাবটিরই প্ৰতীক্ষা করিতেছিল। একমুহুর্তে তাহার সকল উত্তেজনার পরিসমাপ্তি হইয়া গেল। নিজীবের মত বালিশে ঢলিয়া পড়িয়া বলিল, আমার ঘরে ওকে কেন আনলে রাধা ? এতে ওর প্রতিবেশীর ঘর নয় । এ ঘরে কথা নেই, হাসি নেই, চোখে চোখে চাওয়া নেই, শুধু আছে। অন্ধকার। এ ঘরে উনি হাঁপিয়ে উঠবেন। পরস্পরের চোখে চাহিয়া দু’জনে অন্ধের কথা শুনিতেছিল, রাধা চোখ নামাইয়া নিল। শান্ত কণ্ঠে বলিল, উনি বুড়ো মানুষ, এ সব অসুখের বিষয়ে অনেক বোঝেন শোনেন, তাই এসেছেন। উনি এলে আমি অনেক ভরসা পাই। অধর নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, অকাল-বৃদ্ধের অসুখ বুড়ো মানুষেরা বোঝে না। রাধা । তাদের অভিজ্ঞতা নেই। এই বলিয়া অভ্যন্ত ভাবে প্ৰথমে দুই হাতে বুক চাপিয়া হা করিয়া নিশ্বাস নিবার চেষ্টায় হাঁপাইয়া উঠিয়া সে কাশিতে আরম্ভ করিল। প্ৰত্যেকটি কাশির সঙ্গে সমস্ত চৌকী এমন ভাবে নড়িতে লাগিল যে হেরম্ব বুঝিতে পারিল না। রাধার সর্বাঙ্গ ঠিক কি কারণে কঁপিয়া উঠিতেছে। হুকাটা রাধা হেরম্বের হাতে দিয়াছিল। কলিকার আগুন নিবিয়া যায় নাই, পাক খাইয়া খাইয়া তাহা হইতে ধোয় উধেব উঠিতেছিল। হেরম্ব অকস্মাৎ খোলা DBBD BB D BDB BDD DB DD BBDBB DDD S মাঝে মাঝে কিছুক্ষণের জন্য কাশি স্থগিত হইতে লাগিল বটে, কিন্তু একেবারে VNOS پہلناڑتھہمبستی جنٹس فدای خطاه ماه نقش بسج