পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দৰ্পণ নতুন জীবনের নতুন আবেষ্টনীকে জেনে বুঝে সাইয়ে নেবার সঙ্গে রাম • পালকেও সে জানতে বুঝতে থাকে-মানুষটা ক্ৰমে ক্ৰমে নানা দিকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে তার কাছে। এবং এই দিক দিয়ে তার আঘাত আসে সব চেয়ে কঠিন। কাঠগোলার গোলমালের ব্যাপারে রামপালের ছেলেমানুষী দেখিয়ে দিয়ে কৃষ্ণেন্দু যখন ভৎসনা করেছিল, একটা খটকা বেধেছিল ।রম্ভার মনে । রামপালের মেয়েমানুষের মত অভিমানী খেয়ালী শিল্পীমানের ঘনিষ্ঠ পরিচয় পেয়ে এখন সে বুঝতে পারে সেদিন তার ভুল হয় নি। বুঝেও কিছুদিন রম্ভ বুঝতে চায় নি। জোর করে মনে করতে চেয়েছিল পিরীতের প্রথম দিশেহারা খেলার আবেগে মানুষ এরকম ভাবপ্রবণ স্বপ্নবিলাসী আর আরামপ্রিয় হয়, cथशाली श्व, qcनicभcल ट्ठिा क८द्ध । किरू দিবারাত্রি যার সঙ্গে বসবাস দহরম মহরম, তার আসল প্ৰকৃতি কদিন না চিনে থাকা যায়। ঝুমুরিয়ার সূৰ্য্যকে পৰ্য্যন্ত একদিন রামপালের তুলনায় তুচ্ছ মনে হয়েছিল ।রম্ভার, ভেবেছিল সূৰ্য্য মুখে যেসব কথা বলত তার রামপাল সেই সব কথা কাজে পরিণত করবে। এখন সে টের পেয়েছে, ওসব চিন্তাই রামপালের নেই। কাঠগোলার ব্যাপারটাতে অবস্থার ফেরে জড়িয়ে গিয়ে দু’দিনের জন্য তার একটু নেতৃত্ব করার ঝোক চেপেছিল মাত্র। দেশ ও দশের জন্য বড় কাজ করে গৌরব অৰ্জন করার তাগিদ সে অনুভব করে না । তার চেয়ে কাঠের সৌখীন জিনিষ তৈরী করা আর কীৰ্ত্তন গাওয়ার দিকে তার ঝোক বেশী । হতাশায় কালো হয়ে যায় রম্ভার দিনগুলি, মনে হয় জীবনটা ভেস্তে গোল চিরদিনের জন্য, পায়ের নীচে আর সে মাটি পাবে না, অর্থহীন, সন্তা আর পচা জীবনটা টেনে চলতে হবে দিনের পর দিন কৃত্রিম অবাঞ্ছিত শূন্যতায়। কি বিশ্ৰী ভুল, কি ক্রুর তামাসা ! ক্ষোভে রম্ভার বুক জ্বলে যায়, রামপালের সান্নিধ্য পীড়ন করে তাকে, তার বুকভর ভালবাসা যেন বিরাগে পরিণত হয়ে গেছে। ভয়ে ভাবনায় উদ্বেগে অভিমানে রামপাল মান হয়ে যায়, তার আদর নেয় না রাস্তা, সাড়া দেয় না, এক অভূতপূর্ব ভীতিকর গাম্ভীৰ্য্যে তার চোখ মুখ থমথম করে,-একি সর্বনাশ ! কাতর হয়ে বার বার জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে বেী, কি হয়েছে ? তার এই ছেলেমিপনার বাড়াবাড়ি আরও খারাপ লাগে রম্ভার, আরও তার মন খারাপ হয়ে যায়। আবেষ্টনীর চাপে একবার তার BB DDBBDB BBBBBD DBDBDD DBB SS SgS BDDDBBDBD DBDDDBD D DD Ve A