পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

可响 রামপালের গান যখন বেশ জমেছে, উপস্থিত সকলের মধ্যে দেখা দিয়েছে। যথারীতি প্ৰতিক্রিয়া, ছেলের মুখে মাই গুজে দুৰ্গা আচ্ছন্ন অভিভূত হয়ে পড়েছে সুরের নেশায়, হঠাৎ গানে বাধা পড়ল । পাগলা ও আরেকজন অচেনা মানুষ, নরেশকে ধরাধরি করে এনে দাওয়ায় বসিয়ে দিল। থামে ঠেস দিয়ে বসে বুকের কাছে মাথা নামিয়ে নরেশ ধুকতে লাগল। তার মুখে রক্ত, গেঞ্জি ও কাপড়ে রক্তের দাগ । এক মুহুর্তের স্তব্ধতার পর সকলে প্ৰায় একসঙ্গে কলরব করে ওঠে। এ অবস্থায় দ্যাওরকে দেখেও দুৰ্গা এতক্ষণের গা ঝিমঝিম করা গানের নেশা, কাটিয়ে কিছু বুঝতে পারে নি, সকলের ফেটেপড়া কোলাহল যেন ঝাকি দিয়ে তাকে সচেতন করে দেয় । ছেলের মুখ থেকে স্তনের বেঁটা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে সেইখানে দাঁড়াম করে আছড়ে ফেলে উঠে দাড়িয়ে সে সকলের আওয়াজ ছাপিয়ে তীক্ষকণ্ঠে আৰ্ত্তনাদ করে ওঠে, “ওগো, মাগো ! ইকি ৷ ” এর গা-মাড়িয়ে ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে পরীক্ষণে সে গিয়ে হাজির হয়। =CSCoo opf(to ! পাগলা বলে, “কেষ্টবাবু মেরে লাশ করেছেন।” দুৰ্গার ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে রম্ভ কাছে এসে দাড়িয়েছিল, সে আশ্চৰ্য্য হয়ে বলে, “কেষ্টবাবু ?” পাগল সায় দিয়ে বলে, “হা, কেষ্টবাবু। বাপরে বাপ, কি আখালি পিথালি মারটা লাগালে। ভয় হল কি মেরেই বুঝি ফেলেন !” শুনে কলরব থামিয়ে সকলে স্তব্ধ হয়ে যায়। পাগলার কথায় কারো বিশ্বাস হতে চায় না। কৃষ্ণেন্দুকে এরা মেয়েপুরুষ সকলেই জানে, অনেকদিন থেকে অতি ঘনিষ্ঠভাবে জানে। বড় সে ভালবাসে তাদের, তাদের ভালর জন্য চেষ্টার তার কামাই নেই, একবার সে জেলে গেছে তাদের জন্য । আজ নিজে সে নরেশকে মেরে আধমরা করে দিয়েছে । ‘কেন মারলেন ?” পরেশ শুধোল । পাগলা এদিক ওদিক তাকায়, হঠাৎ একবার মুচকে হেসেই গম্ভীর হয়ে যায়, মাথা নেড়ে, বলে, ‘দোষঘাট নইলে কি এমনি মেরেছে, তেমন লোক কেষ্টবাবু নয়। যাক গা মারুক, ও কথা বাদ দাও।” পাগলার সঙ্গী মুখ গোজ BDBD DB BBS EEB DB BDBS SLB BDDB BBDDD BDS gS DD DDD VRS)