পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांनिक &jहांवत्री বজাত। আজ দুপুরে সোনামাসীর ঘরে ঢুকে-” আজি দুপুরে সোনামাসী তাগাদায় বার হয়েছিল, টেপি ঘরে ছিল একা । নরেশ নাকি তখন ঘরে ঢুকে কেলেঙ্কারি করেছে। কৃষ্ণেন্দু তাকে এই অপরাধে CNGSC “কখন মারলেন ? 'কোথায় ?’ ‘কে কে ছিল ?” “কেষ্টবাবু কই ?” চারিদিক থেকে প্রশ্ন আসে একঝাঁক। পাগলার সঙ্গী বলে, “সোনামাসী দুজনকে নিয়ে নালিশ করতে গিয়েছিল কেষ্টবাবুর বাড়ী। কেষ্টবাবু এই খানিক আগে বাড়ী ফিরলেন। টেপিকে সব শুধোলেন, তারপর পিটিয়ে দিলেন নরেশকে।’ সে থামতেই আবার এক ঝাক প্রশ্ন ওঠে । জেরায় বিব্রত পাগলার সঙ্গী হঠাৎ ক্রুদ্ধ হয়ে বলে, “আমি আর কিছু জানিনে বাবু, পাগলাকে শুধোও।” পাগলাও আর কিছু জানে না। সকলে হতাশভাবে পরস্পরের মুখের দিকে তাকায় । এরকম কেলেঙ্কারী সংসারে অনেক ঘটে, শোনামাত্র টের পাওয়া যায় কি ঘটেছে। এ ব্যাপারের মাথামুণ্ড কিছুই যে বোঝা গেল না। কৃষ্ণেন্দু মেরে আধমরা করে দেয় এমন একটা কাণ্ড করল নরেশ দুপুরবেলা, আবার সন্ধ্যার সময় সোনামাসী মেয়েকে নিয়ে কৃষ্ণেন্দুর কাছে নালিশ করতে গেলে সেও সঙ্গে গেল। তাছাড়া, সোনামাসী ঘরে না থাক, বাড়ীতে আরও অনেক ভাড়াটে বাস করে, দুপুরবেলা একটা হৈ চৈ হয়ে থাকলে এতক্ষণ পাড়ার কারো তো সেটা অজানা থাকার কথা নয়। জগু আর সৈারাভী ও-বাড়ীর বাসিন্দা । জগু নয় কাজে গিয়েছিল, তার বেী আর বোন এবং সৈৱাভী তো মরে থাকেনি ! সারাটা দুপুর যে বাড়ীতে এমন একটা কাণ্ড ঘটিল। তবু ওরা কিছু টের পেল না, গান শুনতে এসেই সবিস্তারে গল্প করল না ফেনিয়ে ফাপিয়ে ফোড়ন দিয়ে ? সকলে এদের প্রশ্ন করে, এরা হতভম্বের মত বলে যে কিছুই তারা জানে না । শুধু সৈরাভীর কাছে শোনা যায়, নরেশকে সে দুপুরবেলা বাড়ীতে ঢুকতে দেখেছিল। তা, ও ছোড়া তো আজকাল যখন তখন ও বাড়ীতে যায়, সোনামাসী বেশ খাতির করে ওকে। ও মাগীর পেটে পেটে প্যাচ, ভগবান জানে কি মতলব করেছে। সাতবচ্ছর এক বাড়ীতে রাইছি, চার গণ্ডা পয়সা চাইলে একটি পয়সা সুদ নেয়, ও মাগী পারে না কি !” o