পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ल*१ বার বার মমতাকে ভিক্ষা চেয়েছিল,-“এই যুক্তি ভুলে মমতা আজ তাকে কাবু করতে চায়। প্ৰমাণ করতে চায় সে অন্যায় করেছে, সে-ই অপরাধী । “আমি ভেবেছিলাম’, হীরেন বলে, “বিয়ের পর এসব কোক তোমার কমে যাবে।” “তই নাকি ? ঝাঁঝালো ব্যঙ্গের সুরে মমতা বলে, “তুমি ভেবেছিলে আর পাচটি ফ্যাশনে মেয়ের মত ছেলেমানুষী করছি, বিয়ে হলে সেরে যাবে ? সব SDD BBDB BDD D DBDSDD BB S DBDBDSS BDBB DDL DDDDDS BBDS “না, তুমি তা ভাবোনি হীরেন। ওরকম ভাববার কোন সুযোগ তোমাকে আমি দিইনি। তুমি বরং জানতে বিয়ে করলে আমার কাজের ক্ষতি হতে পারে ভেবেই আমি অনেকদিন তোমার প্রস্তাবে রাজী হই নি। আমার প্ৰকৃতিও তুমি জানতে। বাধা দেওয়ার বদলে আমার কাজে তুমি সাহায্য করবে মনে করেই শেষে আমি রাজি হই, তাও তুমি জানতো।” বলতে বলতে মমতার মুখের কাঠিন্য মিলিয়ে গিয়ে গভীর বিষাদের ছাপ ঘনিয়ে আসে, চোখ বুজে একবার ঢোক গিলে সোজা হীরেনের চােখের দিকে তাকিয়ে বলে, “এক হতে পারে, আমায় তুমি ভালবাসোনি। এমন জোরালো আকর্ষণ বোধ করেছিলে যে তোমার ভুল হয়েছিল। এখন সেটা কেটে গেছে। ওরকম হয়। তাই যদি হয়ে থাকে, খুলে বল না ? সব পরিষ্কার হয়ে যাক। জোড়াতালি দিয়ে লাভ কি ?” হীরেন গোয়ারের মত বলে, “তোমায় আমি আগের চেয়েও এখন বেশী ভালবাসি। তাই না। আজ আমার এই দশা । তোমার খেয়ালে বাদর নাচছি।” মমতার মুখ লাল হয়ে যায়। হীরেন আবার বলে, “আমি ভালবাসি কিন্তু তুমি ভালবাসে না। আমি বুঝেছি, তুমি আমায় ভালবাসো না। তুমি ভালবাসো আরিফকে ৷” . “তুমি কি পাগল ?’ মমতা বলে হতভম্বর মত । ‘পাগল হতেই বসেছি মমু।” মমতা আত্মসম্বরণ করে। বিচিত্ৰ চিন্তা ও অনুভূতির প্রবল আলোড়ন চলতে থাকলেও এতক্ষণে হীরেনের অদ্ভুত পরিবর্তনের কারণটার হদিস পেয়ে তারা যেন ধাধা কেটে যায়। সামনে ঝুকে সাগ্রহে সে বলে, “এই ভাবনা