পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী করে তুলেছিল হেরম্বকে। রাধাকে নিয়ে সে চলে গিয়েছিল কলকাতায়, বাড়ীভাড়া করে দিলে বালীগঞ্জে, বাড়ী আর রাধাকে সাজিয়েছিল হাল ফ্যাসানে। কত কল্পনাই সে করেছিল ওই মিঠে একটা অপ্ৰাপ্য কোন কিছুর জন্য হঠাৎ জাগা পিপাসায় । ভেবেছিল, দু’দিনে ফুরিয়ে যেতে দেবে না। রাধার সঙ্গে সম্পর্ক, ওকে সে পড়াবে, গান শেখাবে, নাচ শেখাবে, আদব-কায়দা শেখাবে, ঘষেমেজে দাড় করাবে আশে পাশের বাড়ীগুলির তরুণীগুলির চেয়েও অপূর্ব বস্তুতে। আর ওকে গড়ে তোলার সঙ্গে গড়ে তুলবে ওর হৃদয়ের সঙ্গে তার হৃদয়ের মিহি মধুর কারবার। কিন্তু রাধা শুধু কঁাদে। তাঁবুতে এসে ঢোকা থেকে রেলগাড়ীতে চড়া থেকে, বালীগঞ্জে বাড়ীতে ঢোকা থেকে, পুতুলের মত সাজা থেকে হাপুসা নয়নে শুধু কঁাদে। হেরম্বের আদর আহলাদে ভোলে না, উজ্জল রঙীন ভবিষ্যতের বর্ণনায় কাণ দেয় না,-হোরম্বের লোমশ বুকে, স্প্রিং-এর খাটের কোমল শয্যায়, সোফায় চেয়ারে, কার্পেট ও ঝকঝকে তকতকে মেঝেতে সে শুধু ককিয়ে ককিয়ে কঁদে ! আর শুধু কি তার কান্না, কাছে এনে সাজিয়ে গুজিয়ে নেবার পর কোথায় যে উপে গিয়েছিল তার মুখের সেই হাইক্লাশ কালচারী পেলাবতার ছাপা ! প্ৰথম দিন সাবান ঘষিবার সময় যে ময়লা উঠেছিল তার মুখ থেকে তার সঙ্গেই বোধ হয় সেই মানিমাটুকুও উঠে গিয়েছিল। সাতদিনে হতাশ ও বিরক্ত হয়ে হেরম্বের ধৈৰ্য্যচ্যুতি ঘটেছিল। শুধু একটি আকর্ষণ তাকে আরও কয়েকটা দিন রাধার জন্য কলকাতায় আটকে রেখেছিল, তার আলিঙ্গনে রাধার বিস্ফারিত চোখে আতি অদ্ভুত এক ভয়ার্তা বিহবলতা। জীবনে একবার একজনের চোখে শুধু হেরম্ব এই দৃষ্টি দেখেছিলমৃত্যু ঘনিয়ে আসবার সময় তার এক সচেতন আত্মীয়ের চােখে। প্রথমদিন এই দৃষ্টি দেখে এক অনির্দিষ্ট ভয়ঙ্কর আতঙ্কে হেরম্বের হৃদস্পন্দন স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, এত জোরে সে চেপে ধরেছিল রাধাকে যে মুখ তার কালি হয়ে গিয়েছিল, চেতনা হারিয়ে চোখ বুজে এসে তার সেই সাংঘাতিক দৃষ্টি অন্তহিত। হয়েছিল । রাধার চোখে মৃত্যুকে আরেকবার দর্শন করার কৌতুহল কি জোরালো । BDB DBD DDDB BDBDBD BD S DDDBD BDBBD iDSBBD স্বত সে ক্ৰন্দনরতা। রাধাকে দেখে ভেবে পেত না তার এই ক্ষীণ দুর্বল দেহে