পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भइशंकाहुलन्न छान्न छक्कै SS আত্মনিৰ্যাতনের প্রবৃত্তি আছে, মরণের প্রেরণা আছে। ছেলে মরার উপলক্ষটা ও কামনা করেছিল। কিনা কে জানে।” মেয়ের মর্মান্তিক বেদনা সম্বন্ধে যাদবের এই ভয়ানক মস্তব্যে সুলতা শ্ৰীতিবোধ করিল। মেয়ের কান্নাকাটিতে যাদবের বিরক্তি যেন তারই ব্যক্তিগত লাভ। তবু অবিশ্বাসের ভান করিয়া মৃদু হাসির সঙ্গে সে বলিল, “কি যে বলেন তার ঠিক নেই। অমন কামনা কেউ করে ? ‘করে না ? তুমি কিছুই জান না ছোট-বেী।” যাদব একপ্রকার অদ্ভুত হাসি হাসলেন। মনে হইল, তাহার বাকুসংযম আজ একেবারেই মুছিয়া গিয়াছে। জীবনের সর্বাপেক্ষা নিভৃত সর্বাপেক্ষ বীভৎস সত্যের সঙ্গে পরিচয় করাইয়া তরুণী বধুটিকে তিনি আজ ভীতা করিয়া তুলিতে চান। বলিলেন, ‘জীবনের এদিকটা তোমার কাছে অন্ধকার ছোট-বোঁ । বৈধব্যের রোমান্সের জন্য সব মেয়েই যে মনে মনে স্বামীর মৃত্যু কামনা করে এটা বিশ্বাস করা তোমার পক্ষে কঠিন।” সুলতার অভিজ্ঞতা কম নয়। চােখ নামাইয়া সংক্ষেপে সে শুধু বলিল, ‘কঠিন নয়, বোধ হয় কষ্টকর।’ তার চোখ দিয়া দু’ফোটা জল গড়াইয়া পড়িল। যাদব তাহা দেখিতে BBB DDDB BDBDBBB DBB S BDDBD DDBD S DuDS SDBD DDuDS পাকা দাড়ির মধ্যে অঙ্গুলি চালনা করিতে আরম্ভ করিলেন। দেখিয়া সুলতার মনে হইল আত্মসংযমের এই অতুলনীয় প্রসঙ্গের সঙ্গে তার যেন জন্মজন্মান্তরের পরিচয় । একটা অবাস্তব কল্পনায় নিজের জীবনকে রূপকের রূপ দিয়া যাদবের পায়ে বিদায়ের প্রণামটা এখনি সারিয়া নিবার জন্য তার মন উন্মুখ হইয়া উঠিল। আকাশ-গঙ্গার মত শূন্য বাহিয়া ঝরিতে ঝরিতে এমনি একটি প্রাচীন মহাকালের জটায় একটি সুদীর্ঘ অবিচ্ছিন্ন বিশ্রামের কয়েক মুহূর্তব্যাপী সংক্ষিপ্ত ক্ষুদ্র অভিনয় । যাদব বলিলেন, “মনোর সঙ্গে দেখা করে এসো। আমি আমার ঘরে রইলাম।” মনোরমার সংবাদ কিছুই অসাধারণ নয়। কঁাদিতে গিয়া আজ চোখ এত জালা করিয়াছে যে বারবার কলের জলে চোখ ধুইয়া সে চুপচাপ বিছানায় বসিয়াছিল। ov-fifts to o