পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sir সঙ্গে দুটি হাত আর পা আঁটা, এবং উপরে একটা মাথা বসানো। কোন নতুনত্ব ত নাই এদের মধ্যে ! এদের মধ্যে যাকেই সে বরণ করুক, মুখে হাত চাপা দিয়া সে শুধু তাকে জড়াইয়া ধরিবে। সে যা চায়, কি চায় তা অবশ্য সে জানে না, কিন্তু যা সে চায় মানুষের মূর্তি ধরিয়া আসিলে তা তার চলিবে না। সুভদ্রার মনে তাই সন্দেহ জাগিয়াছে, সাধনের সঙ্গে ঘুরিয়া বেড়াইতে আর ভাল লাগিবে। কিনা। জ্ঞান বাড়িয়াছে, প্ৰত্যাশার উত্তেজনাটুকু পৰ্যন্ত হয়ত এবার জুটিবে না। কিন্তু ওস্তাদের সঙ্গে যদি নিরুদ্দেশ যাত্ৰা করে ? কাছাকাছি গ্রাম আর শহরে ঘুরিয়া বেড়ানোর বদলে যদি আজ যায় দিল্লীতে আর কাল যায় বোম্বায়ে এবং তার পরদিন যায় দিল্লী বোম্বায়ের মত সাত সমুদ্র তের নদীর পারে আরও যে সব জায়গা আছে, যার নামও সে কোনদিন শোনে নাই ? ক’দিন পরে তাই গেল সুভদ্রা, তবে দিল্লী বা বোম্বায়ে নয়, সাত সমুদ্র তের নদীর পারের অন্য কোন জায়গাতেও নয়। সুভদ্রার অত পয়সা কই ? ওস্তাদ গরীব মানুষ। তাই ক’দিন এখানে ওখানে ভাসিয়া বেড়াইয়া দু’জনে কলকাতা শহরে আসিয়া ঠেকিয়া গেল। তবে ওস্তাদ ভরসা দিয়া বলিল, তাতে কি আসে যায় ? যেখানে খুশী যাওয়ার সাধ মনে থাক, যাওয়ার ব্যবস্থা করিতে যেখানে খুশী যতদিন খুশী দিন কাটিয়া যাক, একদিন ত তারা যাইবেই যাইবে। তার বেশী আর কি চাই মানুষের ? যাওয়ার চেয়ে যাওয়ার আয়োজন ত তুচ্ছ নয়, মনটাই ত যায় মানুষের মাটির পৃথিবীর বুকে এখান হইতে ওখানে! নাই যদি যাওয়া DD LMLBBD DDBDD DBBDD SBDDBDS DBB DBB LgBDBD DBBD যানবাহন দেখিতে, এখানকার বালি পাথর সবুজ ঘাসে হাঁটার বদলে ওখানকার বালি পাথর সবুজ ঘাসে হাটিতে, একটা যাত্ৰা ত একদিন তাদের শুরু করিতেই হইবে, অজানা অচেনা দেশের উদ্দেশে সব যাত্রার চরম একটা যাত্ৰা ? তা বটে। সজোরে ওস্তাদকে জড়াইয়া ধরিয়া সুভদ্রা বলে, “তবে তাই চলো ওস্তাদ, সেখানেই আমরা যাই। তুমি আমার গলাটা টিপে ধরো, আমি তোমার গলাটা টিপে ধরি।” ওস্তাদ কি বলিতে যায়, বঁ হাতটি আলগা করিয়া সুভদ্রা তার মুখে চাপা দেয়। দেহের ভরে মুসাফিরখানার ছেড়া নোংরা মাদুরের বিছানায় তাকে চিত করিয়া ফেলিয়া দেয় এবং তার পাশে লম্বা হইয়া শুইয়া পড়ে। O får GMsoft o