পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

222 sees [। পুরাণে বলে একদা নর-রূপী ভগবান স্নানরতা গোপিনীদের বস্ত্র অপহরণ করে নিয়ে তাদের অন্তর পরীক্ষা করেছিলেন-বহুকাল পরে আবার তিনি, ...এবার অদৃশ্য থেকে তঁর প্রতিনিধিদের দিয়ে, সমগ্র বাংলা দেশের নরনারীর বস্ত্র অপহরণ করে নিয়ে, কি পরীক্ষা করে দেখছেন, তা তিনিই জানেন, , ,তবে দুঃশাসনকে জব্দ করে বস্ত্ৰহীন হওয়ার নিদারুণ লজ্জা থেকে দ্রৌপদীকে তিনিই রক্ষা করেছিলেন, হে রাঘব মালাকার, জেলে বসে ফাট কপালে মলম দিতে দিতে অন্ততঃ সেই কথা স্মরণ করে মনকে সান্তুনা দিও-আশা করি এই ছোট্ট কাহিনীটি পড়ার পর আপনিও ঠিক এই কথাই বলবেন।--] রাঘব বঁাচবে কি মরবে। ঠিক নেই। লাঠির ঘায়ে মাথাটা তার ফেটে চৌচির, হয়ে গেছে । سمي ফুলবাড়ির চৌমাথা থেকে নামমাত্র পথটা মাঠ জিলা বন-বাদাড়ের ভিতর দিয়ে দু’ক্রোশ তফাতে মালদিয়া গিয়েছে। এই দু’ক্রোশের মধ্যে গা বলতে কিছু নেই, এখানে-ওখানে কতগুলি কুঁড়ে জড়ো করা বসতি আছে মাত্র। হাটবারের দিন কিছু লোক চলাচল করে পথ দিয়ে, অন্যদিন সন্ধ্যায় পথটা থাকে প্ৰায় জনহীন । নির্জন হোক, পথটা নিরাপদ। গত কয়েক বছরের মধ্যে এ-পথে কোন পথিকের বিপদ ঘটেনি। বছর তিনেক আগে দিনদুপুরে একজনকে পাগলা শেয়ালে কামড়েছিল শোনা যায়। কেষ্টরামের পোড়া মাদুলী আর চুম্বকাপাথরের চিকিৎসাতেও নাকি বঁচেনি। সাপটাপ হয়ত কামড়েছে দু’একজনকে ইতিমধ্যে, কুকুর হয়ত তেড়ে গেছে ঘেউঘেউ করে, গরু শিঙ নেড়েছে। কিন্তু বিশেষ কিছু কারো হয়নি, কারণ হলে সেটা মানুষের মনে থাকত। রাহাজানির দু’একটা রোমাঞ্চকর কাহিনী শোনা যায়, কিন্তু কবে যে সে ঘটনাগুলি ঘটেছিল কেউ বলতে পারে না, একেবারে ঘটেছিল। কিনা তারও কোন প্ৰমাণ নেই। এপথের আশেপাশের বস্তি-গাগুলিতে যাদের বাস, চুরি-ডাকাতি তারা যদি করে, ধারে কাছে কখনো করে না। এ-পথের একলা পথিকের গায়ে হাত দেয়া দূরে থােক, তাকে ভয় দেখাবার ভরসা পর্যন্ত ওদের নেই। ওরকম কিছু ঘটলে o -fifts to o SS