পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS o ङिळूक् তার দু’দিনের, একটা দিনতো কাটিয়াই গেল। কাল সকলকে সঙ্গে করিয়া আসিয়া বেলা তিনটার গাড়ি ধরা চাই, পরশু কাজে না গেলে চলিবে নাতার কত দুঃখে সংগ্ৰহ করা কত কষ্টের কাজ ! আজ রাত্রেই গিয়া শ্বশুরবাডি হাজির হওয়া ভাল। সকালে উঠিয়াই রওনা হওয়ার আয়োজন আরম্ভ করিয়া দেওয়া যাইবে । মনের মধ্যে এতগুলি যুক্তি খাড়া করিয়া হাটতে আরম্ভ করিলেও কেমন যেন ফাপর ফাপর লাগিতে লাগিল যাদবের। স্টেশনের কিছু তফাতেই কয়েকখানা খড়ে ঘর নিয়ে ছোট একটি বস্তি, ইতিমধ্যেই নিঝুম হইয়া গিয়াছে। বন্তিটি পার হইয়া যাওয়ার পরেই চারিদিকে ফাকা মাঠ, অন্ধকারে বেশীদূর দৃষ্টি চলে না, তবু যেন দেখা যায়, কারণ দিগন্তের সীমায় আকাশ নিজেকে দৃশ্য করিয়া রাখিয়াছে। দেহ-মনের একটা খাপছাড়া অস্বস্তিবোধ ক্ৰমেই জোরালো হইয়া উঠিতে থাকে এবং যাদবের আর বুঝিতে বাকী থাকে না যে, ভয্যের উৎসটা শুধু তার কোমরে বাধা টাকাগুলি নয় । অজানা অচেনা মানুষকে সঙ্গী কবিয়া পথে । চলিবার আশঙ্কাটাই এতক্ষণ যাদবের মনে প্ৰবল হইয়াছিল, এখন তার মনে হইতে থাকে, যেমন হোক একজন রক্তমাংসের সঙ্গী থাকিলেই ভাল হইত। এবাকাম কত অন্ধকার বাত্রির সঙ্গে তার পরিচয় ঘটিয়াছে, কিন্তু অন্ধকারের মধ্যে যে এতকিছু দ্রষ্টব্য থাকে, স্তব্ধতার মধ্যে এত শব্দ শোনা যায়, আর নির্জনতাব মধ্যে এমন সব উপস্থিতি অনুভব করা যায়, কোন দিন তার জানা ছিল না। যাদব থমকিয়া দাঁড়ায়। একবার ভূবে, ফিরিয়া গিয়া বস্তি হইতে পয়সা কবুল করিয়া একজন লোক সংগ্ৰহ করিয়া আনিবে কিনা। আবার ভাবে, ভূতের ভয়ে কাবু হইয়া আবার এতটা পথ ফিরিয়া যাইবে ? রাম নাম জপ করিতে করিতে চোখ কান বুজিয়া কোন রকমে গন্তব্যস্থানে গিয়া পৌছানো যাইবে না ? ভাবিতে ভাবিতে প্ৰকৃতিগত ভীরুতার ঠেলায় কখন যে স্টেশনের দিকে জোরে জোরে হঁটিতে আরম্ভ করিয়া দেয় নিজেই ভাল করিয়া টের '?tit tଗ । এমন সময় জোটে তার সঙ্গী। রক্তমাংসের লম্বা-চওডা বিরাটদেহ সঙ্গী । দূৱ হইতে মানুষটাকে আগাইয়া আসিতে দেখিয়াই যাদবের বুকের মধ্যে প্রথমটা ধডাস করিয়া ওঠে। কয়েক মুহুর্তের জন্য সর্বাঙ্গ আড়ষ্ট হইয়া যায়। তারপর তাকে দেখিতে পাইয়া আগন্তুক যখন ডাক দিয়া জিজ্ঞাসা করে সে কে, e sifţș scriţviţă e