পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sa)R छिकूक না পারে, গলাটা টিপিয়া ধরিয়া যদি বলিয়া বসে, “যা কিছু সঙ্গে আছে দাও”-কি হইবে তখন ? তার চেয়ে মিথ্যা বলাই নিরাপদ । “কি করি ? আজ্ঞে, করি না কিছুই ।” শুনিয়া যাদবের সঙ্গী খানিকক্ষণ আর সাড়া শব্দ দেয় না। প্ৰকাণ্ড একটা বটগাছের তলা দিয়া যাওয়ার সময় দু’জনে গাঢ় অন্ধকারে যেন একেবারে হারাইয়া যায়। অন্ধকার রাত্রে নির্জন পথে আকস্মিক সাক্ষাতের ফলে বিনা ভূমিকায় মানুষের সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্কটা স্থাপিত হইয়া গিয়াছিল, বটগাছের তলের গাঢ়তর অন্ধকারটাই যেন তাকে পরিণত করিয়া দেয় নিষ্কৰ্মা বেকার মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কে। পরিণতিটা এত স্পষ্ট হয় যে, সঙ্গীর গলার আওয়াজ শুনিয়া যাদব পৰ্যন্ত টের পাইয়া যায়। “আপনার চলে কি করে ?” ‘চলে ? আজেন্তু, চলে আর কই ।” “ছেলেমেয়েকে আনতে যাচ্ছেন বললেন না ?” আজ্ঞে না, আনতে নয়। দেখতে যাচ্ছি।” বলিতে বলিতে যাদবের খেয়াল হয়, যার দিন চলে না, বিশেষ কোন কারণ ছাড়া পয়সা খরচ করিয়া ছেলেমেয়েকে দেখিতে যাওয়ার শখটা তার পক্ষে একটু খাপছাড়াই হয়। জোরে একটা নিঃশ্বাস ফেলিয়া আবার তাই সে বলিতে থাকে, ‘যাচ্ছি, কিন্তু দেখতে পাব। কিনা ভগবান DBDBBBD S uBBD DBDD BBB BBDS DDD DBBD DBBDB DBDD S SY BD DDBBD দেড়টা টাকাই বা কে দেবে যে দেখতে আসব ? শেষকালে আর সইল না মশায়, ভাবলাম, যাই যাব জেলে, উপায় কি ! বিনা টিকিটে গাড়িতে চেপে বসলাম । গিয়ে যদি দেখি শেষ হয়ে গেছে-? বড় ছেলে ভোলার বছর দশেক বয়স হইয়াছে, বড় রোগা আর বড় শান্ত ছেলেটা। যাদবের মনটা খুতখুতে করিতে থাকে, ছেলেটার বদলে অন্য কাউকে মর মর করিলেই ভাল হইত। কিন্তু মরণাপন্ন সন্তানের মত করুণ রস সৃষ্টি করিবার ক্ষমতা আর কার আছে ? সঙ্গীর কাছে নিজেকে দরিদ্র প্রতিপন্ন করার ইচ্ছাটাই যাদবের ছিল, নিজের জীবনে এত সব চরম দুঃখ আমদানি করিয়া ফেলিতেছে কেন সে ঠিক বুঝিয়া উঠিতে পারে না। বানাইয়া বানাইয়া লোকটিকে এসব কথা বলার কি প্রয়োজন তার ছিল ? কিন্তু থামিতে সে পারে না, সহানুভূতির সঙ্গে সঙ্গী তাকে দুটি একটি প্রশ্ন করে আর সে অনর্গল জীবনের চরম O for RCMPțg o