পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छिकूक ኃሕ›ፃ হাটিয়া বেড়াইয়াছে, এবার হঠাৎ যেন সেটা প্ৰকাণ্ড একটা সাপ হইয়া ফোস ফোস করিতে আরম্ভ করিয়া দিয়াছে। একবার যাদব ভাবে, ভদ্রলোক বাড়ির ভিতর হইতে ফিরিয়া আসার আগে চম্পট দিবে ; আরও কতলোকের কাছে সাহায্য পাওয়া যাইবে, নাই বা সে গ্ৰহণ করিল এই একজনের টাকা, যাচিয়া টাকা দেওয়ার জন্য যে তাকে সঙ্গে করিয়া বাড়ি নিয়া আসিয়াছে, ক’দিন আগে যার মেয়েটা মারা গিয়াছে কলেরায় ? ভদ্রলোক ফিরিয়া আসিয়া পাচটি টাকা যাদবের হাতে দেয়। ‘আর নেই ভাই, সত্যি নেই। থাকলে দিতাম, সত্যি দিতাম।” যাদবের ছেলের কলেরার চিকিৎসায় আরও কিছু সাহায্য করিতে না পারিয়া ভদ্রলোকের লজ্জা ও দুঃখের যেন সীমা থাকে না । এমনিভাবে যাদব রোজগারের সহজ উপায়টি সম্বন্ধে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিতে থাকে। চুলে সে তেল দেয় না, আঁচড়ায়ও না। কাজ হইতে বাড়ি ফিরিয়াই ছেড়া কাপড় জামা পরিয়া, ছেড়া একটি জুতা পায়ে দিয়া আবার বাহির হইয়া যায়। আজ শহরের এ অঞ্চলে, কাল শহরের ও অঞ্চলে বাছা বাছা মানুষকে নিজের দুঃখ-দুর্দশার কাহিনী শুনাইবার চেষ্টা করে। কেউ শোনে, কেউ শোনে না, কেউ সহানুভূতি জানায়, কেউ ধমক দেয়, কেউ কিছুই দেয় না। একদিন একজন একটা পয়সা গায়ের উপর ছুড়িয়া দিয়াছিল বলিয়া যাদবের অপমান বোধ হইয়াছিল, এখন অনেকেই সেভাবে একটা পয়সা তার গায়ের উপর ছুড়িয়া দেয়-কেউ কেউ একটা আধলাও দেয়। যাদবের কিন্তু আর দুঃখও হয় না, অপমানও সে বোধ করে না । মাঝে মাঝে আনি, দুয়ানী, সিকি পাওয়া যায়, কদাচিৎ টাকা আধুলিও আসে। তাতেই সে খুশী। তা ছাড়া, কয়েকদিনের রোজগারের হিসাব করিয়া সে দেখিতে পায়, একটি একটি করিয়া যে পয়সা পাওয়া যায়, একত্র করিলে সেগুলি আনী দুয়ানী সিকি আধুলি টাকার চেয়ে অনেক বেশীই দাড়ায় ! কাজটা সে এখনো ছাড়ে নাই, আর কিছু রোজগার বাড়িলেই ছাড়িয়া দিবে, ভাবিয়া রাখিয়াছে। কাজের জন্য যে সমযটা নষ্ট হয় সেটা দুঃখের কাহিনী শোনানোর কাজে লাগাইলে হয়ত রোজগার বেশীই হয়, তবু উপার্জনের নতুন উপায়টি আরও একটু ভালভাবে আয়ত্ত না করিয়া কাজটা ছাড়িয়া দেওয়ার সাহস उांद्र श् न् । e ब-निर्दऊि १छ e