পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१iन्म os স্বভাব তাদের নয়, বাংলা দেশের মানুষ কখনও প্ৰমাণ ছাড়া শান্তি দেয় না। শরৎ। হালদারের কি দুর্মতি হল, কি খেয়াল চেপে গেল একটু বাহাদুরি করার, গোমস্তা নারায়ণকে সে পাঠিয়ে দিল তার প্রতিনিধি হিসাবে বজাত লোকগুলিকে দু’চারটি ধমক-ধামক দিতে ! ধান পেলে সোনা মণ্ডল ? উল্লাসে উত্তেজনায় বিকৃত ব্যঙ্গের সুরে চেচিয়ে বলল নারায়ণ তার ফতুয়ায় বোতাম আঁটতে আঁটতে, বলি ধান পেলে গোলায় ? ফিরে যাচ্ছিল, ফিরে যেত সবাই, এই উৎকট ধিক্কারে গুম খেয়ে গেল। গায়ের শ”দেড়েক পুরুষ। অসহ্য বিস্ময়ে তাকালো দু'চোখে জ্বলন্ত প্রশ্ন নিয়ে। গোমস্ত নারায়ণের কি অত খেয়াল আছে, চিরকাল মানুষ ঠেঙিয়ে সে তিরস্কার দূরে থাক, পেয়েছে পুরস্কার। আবার সে চেঁচায়, বলি গোলার ধান ন্যায্য দরে বঁাটোয়ারা করলে না সোনা মণ্ডল ? ধান কোথা গেল নারাণ ? সোনা মণ্ডল প্রশ্ন করল জোরালো গলায়। এগিয়ে গিয়ে বঁ হাতে সে চুল মুঠো ক’রে ধরল। নারায়ণের, ডান হাতে মুঠো ক’রে ধরল তার বুকের ফতুয়া, টেনে আনল সবার মধ্যে। ধান কোথা গেল ? আমি-আমি-হাউহাউ করে কেঁদে ফেলল। নারায়ণ। দাম আটকে শ্বাস টেনে বিহবল হয়ে ভয়ার্ত কান্না । এক ধাক্কায় তাকে উঠানে ফেলে দিল সোনা মণ্ডল। মুখ বাড়িয়ে থুতু ফেলল তার মুখে। ধারালো দা’ বাগিয়ে কোপ দিতে ছুটে যাচ্ছিল জোয়ান মজিদ, বী হাতে সাপটে ধরে তাকে ও আটকাল । বলল, দুৎ ! ছুচে মেরে হাত গন্ধ করব না। সুবল মশাল জেলেছে। এগিযে গেছে হালদারদের গোয়াল ঘরের চালায় আগুনের ছোয়াচ দিতে। সোনা মণ্ডল ছুটে গিয়ে মশাল কেড়ে নিল। কি পোড়াবি ? ঘর-বাড়ি ? ঘর-বাড়ি কি শক্ততা করেছে মোদের সাথে ? ঘর পুড়বে মিছিমিছি, শত্তর পালাবে, কাল মিলিটারী এনে গুলির চােটে ভুলিয়ে দেবে রাইকিশোরীর নামটা ! সোনা মণ্ডলের গালে একটা চড় বসিয়ে দেয়। নগেন কুণ্ডু, তার আশা-ভরসা, টাকা খরচ ব্যর্থ হয়েছে। মুকুলের দিকে তাকিযেই তার জ্ঞান ফিরে আসে, o vis-fissNS IF o