পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विटन्वन्क শেষ রাত্রে একবার মণিমালার নাড়ী ছাড়িযা যাওয়ার উপক্রম হইল। শিয়রে ঘনশ্যাম অত্যন্ত সজাগ হইয়াই বসিয়াছিল। স্ত্রীর মুখে একটু মকরধ্বজ দিয়া সে বড় ছেলেকে ডাকিয়া তুলিল। ‘ডাক্তারবাবুকে ডেকে নিয়ে আয় সন্তু। নিখিলবাবু যদি না আসেন, মোড়ের বাড়িটাতে যে নতুন ডাক্তার এসেছেন, ওঁকে আনিস। উনি ডাকলেই আসবেন।” ঘরে একটিও টাকা নাই, শুধু কয়েক আনা পয়সা। ভিজিটের টাকাটা ডাক্তারকে নগদ দেওয়া চলিবে না। বাড়িতে ডাক্তার আনিলে একেবারে শেষের দিকে বিদায়ের সময় তাকে টাকা দেওয়া সাধারণ নিয়ম, এইটুকু যা ভরসা। ঘনশ্যামের। ডাক্তার অবশ্য ঘরে ঢুকিয়াই তার অবস্থা টের পাইবেন, কিন্তু একটি টাকাও যে তার সম্বল নাই এটা নিশ্চয় তার পক্ষে অনুমান করা সম্ভব হইবে না। মণিমালাকে ভালভাবেই পরীক্ষা করিবেন, মরণকে ঠেকানোর চেষ্টার কোন ত্রুটি হইবে না। বঁাচাইয়া রাখার জন্য দরকারী ব্যবস্থার নির্দেশও তার কাছে পাওয়া যাইবে। তারপর, শুধু তারপব, ঘনশ্যাম ডাক্তারেব সামনে দু’টি হাত জোড় করিয়া বলিবে, “আপনার ফিটা সকালে পাঠিযে দেব ডাক্তারবাবু মণিমালার সামনে অদ্ভুত ভঙ্গীতে হাতজোড় করিয়া বিড়বিড করিয়া কথাগুলি বলিতেছে। ঘুম-ভরা কঁাদ কঁাদ চােখে বড় মেয়েটা তাকে দেখিতেছে। আঙুলে করিয়া আরও খানিকটা মকরধ্বজ সে মণিমালার মুখে গুজিযা দিল। ওষুধ গিলিবার ক্ষমতা অথবা চেষ্টা মণিমালার আছে, মনে হয় না। হিসাবে হয়ত তার ভুল হইয়া গিয়াছে। আরও আগে ডাক্তার ডাকিতে পাঠানো উচিত ছিল। ডাক্তারকে সেঠিকাইতে চায় না, ডাক্তারের প্রাপ্য সে দু’চার দিনের মধ্যে পাঠাইয়া দিবে, মণিমালা মরুক অথবা বীচুক। তবু, গোড়ায় কিছু না বলিয়া রোগিণীকে দেখাইয়া ডাক্তারের কাছে ব্যবস্থা আদায় করার হিসাবে একটু প্ৰবঞ্চনা আছে বইকি। এসব হিসাবে গলদ থাকিয়া যায়। কিন্তু উপায় কি! একজন ডাক্তার না দেখাইয়া মণিমালাকে তা মরিতে দেওয়া स्रो न । O y-fifts o S8