পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRR fs বঁচালেন মোকে । মুখে শুষতে শুষতে মদন পায়ে হাত ঘষে। খড়িওঠা ফাটা পায়ে হাতের কড়া তালুর ঘষায় শব্দ হয় শোষেরই মত। ভুবন পরামর্শ দেয় ; উঠে হাটো দু’পা । সেরে যাবে। মদন কথা কয় না। এতক্ষণে আশেপাশের বাড়ির কয়েকজন মেয়েপুরুষ ছুটে এসে হাজির হয়েছে হুল্লোড় শুনে। শুধু উদি আসেনি প্ৰায় লাগাও কুঁড়ে থেকে, কয়েকটা কলাগাছের মোটে ফারাক মদন আর উদির কুঁড়ের মধ্যে। ঘর থেকেই সে তাঁতীপাড়ার মেয়েপুরুষের পিত্তি জ্বালানো মিষ্টি গলায় চেঁচাচ্ছে ঃ केि झूल 6i ? दलेि श्ल केि ? ভুবন রাস্তা থেকে উঠে এলেও এটা জানা কথাই যে উদির কুঁড়ে থেকেই সে ডোবা ঘুরে রাস্ত হয়ে এসেছে। উদিই হয়ত তাড়া দিয়ে পাঠিয়েছে তাকে। সাতদিন তাত বন্ধ মদনের, বৌটা তার ন’মাস পোয়াতী, না খেয়ে তার ঘরে পাছে কেউ মরে যায় উদির এই ভাবনা হয়েছে, জানা গেছে কাল। কিছু চাল আর ডাল সে চুপি চুপি দিয়েছে কাল মদনের বৌকে, চুপি চুপি শুধিয়েছে। মদনের মতিগতির কথা, সবার মত মজুরি নিয়ে সাধারণ কাপড় বুনতে মন হয়েছে কিনা মদনের। কেঁদে উদিকে বলেছে। মদনের বেী যে না, একগুয়েমি তার কাটেনি। পাড়ার যারা ছুটে এসেছিল, ভুবনকে এখানে দেখে মুখের ভাব তাদের স্পষ্টই বদলে যায়। ইতিমধ্যে পিসী পিাড়ি এনে বসতে দিয়েছিল। ভুবনকে। বারবার সবাই তাকায় মদন আর ভুবনের দিকে দু'চোখে স্পষ্ট জিজ্ঞাসা নিয়ে। সেও কি শেষে ভুবনের ব্যবস্থা মেনে নিল, রাজী হল প্ৰায় বেগার খাটা মজুরি নিয়ে সন্তা ধুতি শাড়ি গামছা বুনে দিতে ? মদন অস্বস্তি বোধ করে। মুখের খোচা খোচা গোফ দাড়ি মুছে ফেলে হাতের চেটোতে। সবার নিঃশব্দ জিজ্ঞাসার জবাবেই যেন বুড়ো ভোলাকে শুনিয়ে সে বলে, পায়ে খোঁচ ধরল। হঠাৎ । সে কি যন্তনা, বাপ, একদম যেন মিত্যু যন্তনা, মারি আর কি ! উনি ছুটে এসে টেনেন্টুনে ঠিক করে দিলেন পাট, বাঁচালেন মোকে । গগন তাঁতীর বেঁটে মোটা বৌ অদ্ভুত আওয়াজ করে বলে, অ! কাছেই ছিলেন তা এলেন ভাল। তাই ত বলি মোরা । র্তগত না চালিয়ে গা’টা ঠিক নেই। তাড়াতাড়ি বলে মদন। গগন তাতীর বৌয়ের মুখকে তার বড় ভয়। • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও