পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fi ܦ বৃন্দাবন দাড়িয়ে ছিল পিছনে, অপরাধীর মত। তার কুঁড়েও মদনের ঘরের প্ৰায় লাগাও-উত্তরে একটা আম গাছের ওপাশে, যার দু’পাশের ডালপালা দু’জনের চালকে প্ৰায় ছোয় ছোয় । বুড়ো ভোলার চেয়ে বৃন্দাবনের বয়স অনেক কম। কিন্তু শরীর তার অনেক বেশী জরাজীর্ণ। একটি তার পুরনো জীর্ণ র্তত, গামছা আর আটহাতি কাপড় শুধু বোনা যায়। র্তাতে সে আর বসে না, ক্ষমতা নেই। তার বড় ছেলে রসিক তঁাত চালায় । সুতোর অভাবে তাতীপাড়ায় সমস্ত র্তত বন্ধ, অভাবে ও আতঙ্কে সমস্ত তঁাতীপাড়া থমথম করছে ; শুধু তাত চলছে কেশবের আর বৃন্দাবনের। ভুবন অমায়িক ভাবে বৃন্দাবনকে জিজ্ঞাসা করে, ক’খানা গামছা হয়েছে বৃন্দাবন ? বৃন্দাবন যেন চমকে ওঠে। এক পা পিছিয়ে যায়। জানি না বাবু, মোর ছেলা বলতে পারে। কেশবকে বোলো বোনা হলে যেন পয়সা নিয়ে যায়। বঁকা মেরুদণ্ডটা একবার সোজা করবার চেষ্টা ক’রে বৃন্দাবন অসহায় করুণদৃষ্টিতে সবার দিকে একবার তাকায়। ছেলেকে শুধোবেন বাবু। ওসব জানি না কিছু আমি । পিছু ফিরে ধীরে ধীরে চলে যায় বৃন্দাবন ! গগনের বৌ বলে মুখ বাকিয়ে ঝাজের সঙ্গে, আমি কিছু জানি না গো, মোর ছেলা জানে। কত ঢং জানে বুড়ো ! বুড়ো ভোলা বলে, আহ থাম না বুনোর মা ? অতি কথায় কাজ কি। যন্তনা c?igछ ना भान ? ८भाझा ऊ6द बाङ्ग्रे । কেশব গেলেই পয়সা পাবে, গামছা কাপড় বুনে দিলেই পয়সা মেলে, এসব কথা- এসব ইঙ্গিত দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুনতে তারা ভয় পায়। সব ঘরে রোজগার বন্ধ, উপোস । ভুবন বলে, তোমার গায়ের তাঁতীরা, জানো মদন, বড় বোকা । মদন নিজেও সাতপুরুষের তাঁতী। রাগের মাথায় সে ব্যঙ্গই করে বসে, সে কথা বলতে । তাঁতী জাতটাই বোকা । ভুবন নিজের কথা বলে যায়, সুতো কিনতে পাচ্ছিস না, পাবিও না কিছুকাল। তাত বসিয়ে রেখে নিজে বসে থেকে লাভ কি ? মিহিরবাবু সুতো দিচ্ছেন, বুনে দে, যা পাস তাই লাভ। তা নয় সুতো না। কিনতে দিলে কাপড়ই বুনবে না, একি o *-fióftws a o