পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেকী S9 বছর বাইশ তেইশের একটি ছেলে, চোখে সোনার চশমা, একটা আম গাছের গুড়ি ঘোষে দাড়িয়ে আছে। ” অন্তভাবে নিজেকে আকণ্ঠ নিমজিত করে দিয়ে মেয়েটি সংযত হয়ে নিল । জড়সড় হয়ে তেমনিভাবে গলা পৰ্যন্ত জলে ডুবে দাড়িয়ে রইল। ভাবল, ভদ্রলোকের ছেলে, সরে যাবে। ছেলেটির কিন্তু নড়বার লক্ষণ দেখা গেল না । তেমনি ভাবেই দাড়িয়ে রইল। রাগে বিরক্তিতে মেয়েটি ঠোঁট কামড়ে ধরল। এক মুহুর্ত দ্বিধা করে জল থেকে উঠে এল । তারপর ধীরপদে ছেলেটির কাছে এগিয়ে গেল । ছেলেটি নিবিষ্টচিত্তে গাছের উপর কি দেখছিল, যেন পৃথিবীর আর কোন দিকে তার লক্ষ্য নেই! রাগে গা জলে গেল। তিক্তস্বরে মেয়েটি বললে, দেখুনছেলেটি চমকে তার দিকে তাকাল । মেয়েটি বললে, এত দূর থেকে দেখতে আপনার বোধ হয়। অসুবিধা হচ্ছে, ঘাটের পাড়েই চলুন না ? আমার স্নানের এখনো বাকী আছে। আমায় বলছেন ? দ্বিতীয় ব্যক্তি ত কারুকে দেখছি না। এখানে। আপনি ভদ্রলোকের ছেলে, আপনার যদি এরকম প্ৰবৃত্ত্বি-রাগে দুঃখে মেয়েটির কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে গেল । ছেলেটি অকৃত্রিম বিস্ময়ে তার মুখের দিকে চেয়ে রইল। " মেয়েটি আবার বললে, আর একদিন আপনি উকি মারছিলেন, কিছু বলিনি। কিন্তু এ আপনার কোন দেশী ভদ্রতা ? আপনার বাধে না, কিন্তু আমরা যে লজায় মরে যাই। মানুষকে এত নীচ ভাবতেও যে কষ্ট হয় ! বিবৰ্ণ মুখে ছেলেটি বললে, এ সব আপনি কি বলছেন ? আমিন্যাকামি । ছেলেটির মুখ দেখে মন একটু নরম হয়েছিল, এই ন্যাকামিতে আবার কঠিন হয়ে গেল। কটু কণ্ঠে বললে, অন্যায় বলেছি। দুচোখ বড় বড় করে দেখুন, আপনাকে আমি লাজ করব না। স্নানের সময় গরু মহিবও ত মাঝে মাঝে জল খেতে আসে ! ঘুরে দাড়িয়ে পা বাড়াল। পেছনে ব্যাকুল কণ্ঠ শোনা গেল, দাড়ান। মেয়েট ফিরে দাড়াল । আমায় বিশ্বাস করুন, আপনি স্নান করছিলেন। আমি তা যেখিনি। আর f e V-fits go to