পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YYBB u LHLBE LBLBBDYD BBLBBB DDD SBYS LrLLYBBBYYY চেয়ে ভাল লোক বোধ হয়। পৃথিবীতে নেই! শহরের প্রাস্তবাহী ছোট নদীটি বর্ষার জলে ভয়ে উঠেছে। টীমার ঘাট পৰ্যন্ত গাড়ি যায় না, নৌকায় যেতে হয়। স্টীমার ঘাট শহয় থেকে মাইল পাঁচেক দূরে। সূচীমারে উঠে নেকী কেবিনে ঢুকতে রাজী হল না। রেলিঙের পাশে ডেকাচেয়ার পেতে তাকে বসিয়ে দেওয়া হল। অশোক আর তার মা কাছেই বসলেন। নেকী একদৃষ্টি মেঘনার জলরাশির দিকে চেয়ে রইল। স্টীমার এক তীর বেঁধে চলেছে, ওপারের তটরেখা অস্পষ্ট। দুবছর আগে এই পথ দিয়েই সে একটা অতি-পরিচিত জীবনকে পিছনে ফেলে দুরুদুরু বুকে অজানা অচেনা জীবনের মাঝে গিয়ে পড়েছিল। আজ আবার সেই পথেই কোন নতুন জীবনের সন্ধানে সে চলেছে কে জানে! দেনাপাওনা হয়ত মিটবে না, ওপারের তটরেখার মতই অস্পষ্ট অনুভূতি তাকে যে চিরন্তন জীবনের কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে সে জীবনে যেতে মন হয়ত তার কেঁদেই উঠবে। কিন্তু যেতে বোধ হয় হবেই। অশোক শুল্ক বিষঃ মুখে ডেকের পাটাতনের দিকে চেয়ে রইল। মা-ই কেবল মাঝে মাঝে দুএকটা কথা বলতে লাগলেন। পুলিকের এ সমন্ত উচ্চাদের সুখ-দুঃখের বালাই নেই, রেলিঙে ভর দিয়ে তন্ময় হয়ে সে ঢেউয়ের ওঠা-নামা 6थछ शव । হঠাৎ উঠে দাড়িয়ে মা বললেন, তোরা গল্প করা অশোক, আমার ভারী মাথা ধরেছে, কেবিনে একটু ঘুমিয়ে নিই গে। মা উঠে যেতেই অশোকের মুখের দিকে চেয়ে নেকী হাসল। যেন বলতে চায়, রাগ ত তোমারও নেই আমারও নেই, তবে কথা বলছি না কেন ? চেয়ারটা নেকীর কাছে সরিয়ে এনে তার মুখের ওপর ব্যাকুল দৃষ্টি মেলে অশোক বললে, আমায় মাফ করেছ লীলা ? নেকী তেমনি ভাবে হেসে বললে, মাপ করবার কিছু নেই, সে সব আমি ভুলে গেছি। তুচ্ছ ব্যাপারকে বড় করে দেখবার আর আমার শক্তিও নেই, সময়ও বোধ হয় নেই। অশোকের চোখে জল এল, বললে, আমিই তোমায় শেষ করে দিলাম। লীলা । নেকী তাড়াতাড়ি বললে, না না, ও কথা বোলো না। হঠাৎ আকাশের দিকে e -fiq a