পাতা:মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত গল্প.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরও খানিকক্ষণ চুপচাপ অইয়া থাকিবার পর মধু হঠাৎ উঠিয়া বসিল । ৰলিল, “কাঞ্ছ ! ওঠত একবার।’ কান্ধু বলিল, “কেন, উঠবো কি জন্তে ? “আলো জাল। বেরুবো।” • খানিকক্ষণ কাদুর উঠিবার লক্ষণ দেখা গেল না। মনে মনে সে কি ভাবিতে লাগিল কে জানে ? তারপর নিঃশব্দে উঠিয়া দীপ জালিল । বলিল, “না বেরুলেই হ’ত আজ ।। জয় থেকে উঠেছ।” মধুর হঠাৎ রাগ হইয়া গেল। “অত সোহাগ তোকে আর জানাতে হবে না, জানিলি ? ঢের হয়েছে। অন্য¢लाहक कष्ङ ङि ! cष ङि, शi ना ख्ान्न काgछ ।' কাদুর হাতে নূতন চুড়িগুলিকে প্ৰদীপের আলোয় চিকচিক করিতে দেখিয়া মধুর রাগ একমুহূর্তে অভিমানে পরিণত হইয়া গেল। ‘জর গায়ে রাতদুপুরে বিষ্টি মাথায় করে কামাতে চললাম, মেয়ের মুখ তবু হাড়িপনা হয়েই রইল। ধরা পড়ি তা আচ্ছা হয় ।” কাদু বলিল, “কে যেতে বলছে ?” “তুই বলছিস, তুই!-চুপ থাক, কাদু। রাগের সময় কথা ক’য়ে রাগ বাড়াস ଜt1 || কান্ধু একটু ভয় পাইয়া বলিল, ‘খামখা রাগ করলে মানুষ কি করাৰে ?” মধু রাগে অভিমানে স্ত্রীর কথার কোন জবাব দিল না। কেন, ও পায়ে ধরিতে পারে না ? গলা জড়াইয়া কঁাদিতে পারে না ? বলিতে পারে না, অসুখ শরীরে আজ তুমি যেও না গো, তোমার দুটি পায়ে পড়ি, কথা শোন, লক্ষ্মী, নইলে আমি গলায় দড়ি দেব ? মধু কোমরে ল্যাঙট আঁটিল। কোমরে যে এত ব্যথা ধরিয়া আছে শুইয়া থাকার সময় কে তাহা জানিত ! ঘরের কোণায় ভূষি-রাখা জালার ভিতর হইতে সিধকাঠি বাহির করিয়া মধু বলিল, “এঃ মরচে ধরে গেছে। খেয়াল করে একটু তেলও একদিন মাখিয়ে রাখতে পারিস নি ? শিলটা আন ত, একটু ঘষে নিয়ে बाहै ।” কান্ধু বলিল, “বিষ্টতে মাটি নরম হয়ে আছে। ওতেই হবে।” o fifts a